বাংলাহান্ট ডেস্ক : রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) সমবায় নির্বাচন এবং মালদার হাই মাদ্রাসা ভোটে জয় পেয়েছে বিজেপি (BJP) ও বাম-কংগ্রেস (CPM-Congress) জোট। দু’জায়গাতেই চূড়ান্ত ব্যর্থ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC)। নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে ১২টির মধ্যে ১১টি আসনই দখল করেছে বিজেপি। একটি আসন পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে আবার মালদার (Malda) রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের শ্রীপুর জিএসএ হাই মাদ্রাসার নির্বাচনে ৬টি আসন দখল করেছে বাম-কংগ্রেস জোট। তৃণমূলের ফল শূন্য।
নন্দীগ্রামের সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল নিয়ে বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, ‘নন্দীগ্রামের মানুষকে অপমান করা হয়েছে। কারণ নন্দীগ্রামের মানুষ বিজেপি প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছিলেন। সেই প্রার্থীকে বলা হয় অন্ধকারে ভোট জিতেছে। ধারাবাহিকভাবে তাঁদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে কুৎসা প্রচার, শারীরিকভাবে আক্রমণ, গাড়ি ভাঙচুর, এবং সর্বোপরি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি মানুষের ক্ষোভ চূড়ান্ত আকারে পৌঁছে গিয়েছে। প্রান্তিক মানুষের এই ভোট প্রমাণ করে দিল পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল হারবে।’
অপরদিকে মালদার হাই মাদ্রাসায় জয় প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, ‘যেভাবে আমাদের রাজ্যে সরকার চলছে বা তৃণমূল চলছে, সেটা মানুষ অপছন্দ করছেন। কোনও না কোনও সময় ভেবেছিল দিল্লিতে বিজেপির সরকার আছে, তাকে আঁকড়ে ধরলে যদি খানিকটা সুরাহা পাওয়া যায়। কিন্তু মানুষ বুঝেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি কখনও বিশ্বাসযোগ্য ভরসাযোগ্য শক্তি নয়, হতে পারেও না। তৃণমূলের ওপরে মানুষের বিতৃষ্ণা ক্রমশ বাড়ছে, বিরক্তি বাড়ছে, তারই প্রতিফলন ঘটছে।’
তবে, শমিক ভট্টাচার্য ও সুজন চক্রবর্তীর এই দাবি একেবারেই মানতে রাজি নন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। তিনি বলেন, ‘একেবারেই না, নন্দীগ্রামে যেখানে নির্বাচন হয়েছে সেখানে শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ফলাফল খারাপ হয়েছিল। এছাড়া সমবায় নির্বাচনে ক্যান্ডিডেট প্যানেলের ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। এগুলো দলের আত্মসমীক্ষা, দল অবশ্যই করবে। কিন্তু এর সঙ্গে সামগ্রিক কোনও ব্যাপার নয়। কারণ ক’দিন আগেই নন্দীগ্রামের আরেকটি সমবায় নির্বাচনে ৫২টার মধ্যে ৫১টা আসন আমরা জিতেছি। একটা সিপিএম জিতেছে। বিজেপি একটাও পায়নি। ওটাও নন্দীগ্রামের ফল, এটাও নন্দীগ্রামের ফল। ওটাও পার্থ-অনুব্রত ইস্যুর পর, এটাও পার্থ-অনুব্রত ইস্যুর পর। তাই স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় ফ্যাক্টর থাকে। আমরা মেরামতের চেষ্টা করছি।’
অপরদিকে মালদার ফলাফল প্রসঙ্গে দেবাংশু বলেন, ‘মালদাতেও আমরা সবক’টা আসন পাইনি। মালদায় বহু আসন আছে যেখানে বিজেপি জিতেছিল। আমরা জানি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভোটটা বাম ও কংগ্রেসের। তাই বিজেপি যখন বাংলায় মাটি হারাচ্ছে তখন কিছু কিছু জায়গায় তারা বামেদের ফিরিয়ে দিচ্ছে।’