গরু পাচারের সঙ্গে সরাসরি আমার কোনও যোগাযোগ নেই! দাবি কেষ্টর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘গোরু পাচারের (Cow Smuggling Case) সঙ্গে আমার সরাসরি কোনও যোগাযোগই নেই।’ এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। আজই শেষ হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের বিচার বিভাগীয় হেফাজত। বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ শেষে আজ আবারও আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে তোলা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে। জানা যাচ্ছে, আদালতে জামিনের আবেদন জানাবেন অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর আইনজীবীরা। দলীয় সূত্রে খবর, আদালতকে কেষ্ট জানাবেন ‘গোরু পাচারের সঙ্গে আমার সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। আমি অসুস্থ। আমাকে এবার জামিন দেওয়া হোক।’

বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে গোরু পাচারের কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত নেই সিবিআই আধিকারিকদের কাছে। এমনই দাবি করছেন কেষ্টর আইনজীবী ফারুক রাজ্জাক। এরই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন, এনামুলের সঙ্গে সরাসরি বা গোরু পাচারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত আছেন অনুব্রত, এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কারণ ছাড়াই জামিনের বিরোধিতা করছে সিবিআই।

তবে সিবিআইয়ের এই প্রসঙ্গে বলে, এনামুল হকের সঙ্গে সরাসরিই যুক্ত রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সে তথ্য আদালতে ইতিমধ্যেই জমা করেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাঁর হিসাবরক্ষকের নামেও বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। এনামুলের সঙ্গেও যে টাকার লেনদেন হয়েছে, তার প্রমাণও ইতিমধ্যেই আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। সিবিআই দাবি করে, অনুব্রত মণ্ডল এতটাই প্রভাবশালী যে কাস্টমস আধিকারিকদেরও হুমকি দিতেন তিনি।

সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র বলেন, দেহরক্ষী সায়গল হুসেন মধ্যস্থতার কাজ করতেন। অনুব্রত মণ্ডলের জন্য বাজার থেকে টাকা তুলতেন সহগল। তবে এই দাবির বিরোধিতা করে অনুব্রতর আইনজীবী ফারুক রাজ্জাক দাবি করেন, ‘টাকা তুলতেন সয়গল হুসেন। এতে অনুব্রতর দোষটা কোথায়?’

গোরুর হাট থেকে সমস্ত কিছু চলে যেত বাংলাদেশ বর্ডার দিয়ে। তার পুরো তথ্য দেওয়া হয়েছে সিডিতে। কাস্টমস কোনও পদক্ষেপ নিলে স্থানীয় লোকজন তাঁদের কাজে বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছেন বলেও আদালতকে অভিযোগ জানায় সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে কেষ্টর জামিন হয়ে গেলে তদন্তের কাজ অত্যন্ত প্রভাবিত হবে বলেও মনে করেন সিবিআই হানারা। আদালতে আজ তাই আবারও জামিনের বিরোধিতা করবে সিবিআই। বিভিন্ন সূত্রে এমনই খবর উঠে আসছে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর