বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) স্টেটাস রিপোর্ট ও ফরেন্সিক রিপোর্ট পেশ করল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। বুধবার মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট পেশ করেন সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী। আর রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বললেন, ‘অকল্পনীয় দুর্নীতি, সাধারণ মানুষকে অবাক করে দেবে।’
বুধবার প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় আদালতে দুটি রিপোর্ট পেশ করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্ত সুনির্দিষ্ট পথে এগোচ্ছে। পরীক্ষা দেননি এমন মানুষও চাকরি পেয়েছেন। দ্রুত তদন্ত শেষ হবে। সেই রিপোর্ট খুলে পড়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিক নিয়োগে অকল্পনীয় দুর্নীতি হয়েছে। সাধারণ মানুষকে শিহরিত করবে এই দুর্নীতি।
সঙ্গে এদিন আদালতে ওএমআর শিটের ফরেন্সিক রিপোর্ট পেশ করে আদালত। দিল্লি সিএফএসএল এর সেই রিপোর্টে ওই কাগজ কবে তৈরি করা হয়েছে তা নিয়ে কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
ওদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের ১০ আত্মীয়ের চাকরির নথি মামলাকারীর আইনজীবী পরীক্ষা করবেন বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৭ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে গিয়ে এই রিপোর্ট তাঁরা পরীক্ষা করবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার এসএসসি-র গ্রুপ ডি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। মামলাটির শোনার পর অবশ্য তিনি ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই ৯২৩ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছিলেন। কিন্তু এসএসসির তরফে আদালতকে জানানো হয় পুজোর আগে এত দ্রুত এই ৯২৩ জনকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। সময় খুবই কম। তার পরই বিচারপতি জানিয়ে দেন, পুজোর আগে চাকরি দেওয়া সম্ভব না হলেও এসএসসিকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে হবে। শূন্যপদের সংখ্যা স্পষ্ট করে জানিয়ে বিজ্ঞাপ্তি জারি করে কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়াও শুরু করতে হবে।