বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দেশের ইতিহাস বদলে দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি এই মুহূর্তে ইতিহাসটাকে বাঁচিয়ে রাখা খুব জরুরী। আগামী প্রজন্মের জানা উচিত দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস। নাম না করে এরকম ভাবেই বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুর সংশোধনাগারে সংশ্লিষ্ট সংগ্রহশালার উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই নাম না করে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপিকে।
অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি বলেন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালিদের অবদানের ইতিহাস। তার ভাষণে বারবার উঠে এসেছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম।
আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে বাঙালি না থাকলে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম সঠিক পথে পরিচালিত হতো না। বাংলার জন্যই দেশে নবজাগরণের সূত্রপাত হয়েছিল। ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে বোঝা যায় যে সেই সময় ইংরেজরা বুঝে গিয়েছিল বাঙালিরা তাদের সব থেকে বড় বিপদের কারণ। তখন থেকেই বাংলার প্রতি যে বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয় তা এখনো চলছে। নাম না করে তিনি বিজেপিকে নিশানা করে বলেন যে তারাও বাংলাকে সবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে চাইছে।
কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশে প্রকাশিত স্কুল পাঠ্য বই থেকে জাতীয় সঙ্গীতে ‘উৎকল বঙ্গ’ শব্দ দুটি বাদ পড়ে গিয়েছিল। পরোক্ষভাবে সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাখি বন্ধন উৎসবের মাধ্যমে সারাদেশে একতার সৃষ্টি হয়েছিল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে যে পরোক্ষভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ কেন্দ্রকে নিশানা করে তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন।