বাংলাহান্ট ডেস্ক : ত্রিপুরা (Tripura) বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে (BJP)। এবার পদত্যাগ করলেন বিজেপি বিধায়ক বুর্ব মোহন ত্রিপুরা। আদিবাসী বলয়ের বিধায়কের পদত্যাগে চাঞ্চল্য শুরু হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। বিশেষ সূত্রের খবর বিধায়ক যোগ দেবেন তিপ্রামোথায়।
পদত্যাগের সময় হাজির ছিলেন তিপ্রামোথা প্রধান প্রদ্যোত মাণিক্য। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম ভূমিকা রয়েছে এইর তিপ্রামোথা। ইতিমধ্যেই স্বশাসিত পর্ষদের ভোটে জিতেছে তিপ্রামোথা। আদিবাসী এলাকায় তাদের প্রভাব মারাত্মক। দলের আরও এক বিধায়কের পদত্যাগে রীতিমতো চাপে বিজেপি।
আগামী বছরই ত্রিপুরাতে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনের আগেই আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে একের পর এক বড় ধাক্কা খাচ্ছে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট। স্বশাসিত জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা হংস কুমার ত্রিপুরা রাজ্যের একমাত্র আদিবাসী পরিষদের শাসকের দায়িত্বে থাকা দল তিপ্রামোথাতে যোগ দেন মাস খানেক আগেই। হংস ত্রিপুরার সঙ্গে ৩ হাজার পরিবারের প্রায় ৬ হাজার ৫০০ জন কর্মী সমর্থকও এই দলে যোগ দেন। রাজ পরিবারের সদস্য প্রদ্যোত কিশোর মানিক্য দেববর্মা দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন তাঁর হাতে।
গত বছর অগাস্ট মাসে আগরতলার তুলসীবতী স্কুলে ৫ সংস্কারবাদী বিজেপি বিধায়কের উপস্থিতিতে রাজ্য বিজেপিকে বাঁচাতে একটি বিশেষ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সব বিধানসভা থেকে পাঁচ-সাত জন করে নেতা কর্মীদের এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সভায় মূলত মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মতামত জানার চেষ্টা হয়। একজন বক্তাও বলেননি ত্রিপুরায় দল ও সরকার ভালো কাজ করছে। ১৮ জন বক্তব্য রাখেন। সবাই দল ও সরকার পরিচালনায় আমূল পরিবর্তনের কথাই বলেন। নাহলে বিজেপি কর্মীরা তিপ্রামোথা ও তৃনমূলে যোগদান করতে পারে বলেই অনুমান করেন তাঁরা। সভায় সুদীপ রায় বর্মণ, আশিষ সাহা, আশিষ দাস , দিবা চন্দ্র রাংখল ও বুর্ব মোহন ত্রিপুরা এই পাঁচ বিধায়ক সহ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রনজয় দেবও বক্তব্য রাখেন। বিজেপি-র প্রায় দুই হাজার লোক এখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
সংস্কাবাদীদের নিয়ে ডাকা এই বৈঠকে বিজেপি-র বিক্ষুব্ধদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করার জন্য একত্রিত হন। সভায় তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, দলের কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাদের কথা শুনতেই এই সভা ডাকা হয়েছে। সভায় যেসব পয়েন্ট উঠে আসবে সেগুলি হাই কমান্ডকে জানানো হবে। যদিও এর পর বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে চলে যান সুদীপ। উপনির্বাচনে জিতে তিনি এখন কংগ্রেস বিধায়ক। এর পর দল ছাড়তে চলেছেন বুর্ব মোহন ত্রিপুরা।