বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহম্মদ রিয়াজ (Md. Riyaz)। কয়েক মাস আগেই এই নাম শুনে শিহরিত হত প্রত্যেক ভারতীয়। এ হল সেই ব্যক্তি যে উদয়পুরের সাধারণ দর্জি কানাইয়ালালকে (Kanhaiyalal Murder Case) গলা কেটে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ড চালাবার পর আবার বুক ফুলিয়ে গর্বের সঙ্গে সে কথা স্বীকারও করে ভিডিও করে। সেই রিয়াজ এখন রয়েছে এনআইএ-র (ANI) হেফাজতে। জানা যাচ্ছে, এনআইএ-র আধিকারিকদের সে বার বার জিজ্ঞাসা করছে তার বাড়ি থেকে কেউ তাকে দেখতে কেন আসছে না? এমনকি সে বারবার আর্জি একবার অন্তত তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হোক।
গত ২৮ জুন কানাহাইয়ালালের হত্যাকাণ্ড ঘটায় মহম্মদ রিয়াজ এবং মহম্মদ গোস। গোটা দেশ জুড়ে ওঠে এই নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে ধিক্কার। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নিতে উদয়পুর পৌঁছায় এনআইএ-র দল। গভীর রাতে তাদের ভূপালপুরা থানায় নিয়ে আসা হয়। সেই থানাতেই চলে জেরা। জানা যাচ্ছে, এনআইএ আধিকারিকরা পাকিস্তান এবং পিএফআই সংগঠনের বিষয়ে অনেক কিছুই জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রায় ৯৬ ঘন্টা জেরা করার পর দু’জনকে জয়পুর থেকে আজমিরের সুরক্ষিত সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেয় আইএনএ-এর তদন্তকারী দল।
এই সময়ই রিয়াজ আইএনএ আধিকারিকদের সামনে কাকুতিমিনতি করতে থাকে তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্তত একবার দেখা করানোর জন্য। সে কান্নাকাটিও করে বলে জানা যায়। রিয়াজ প্রশ্ন তোলে নিজর আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার অধিকারও কি তার নেই? সে অবাক হয়ে যায় যখন সে শোনে যে তার বাড়ি থেকে কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে আসে নি। প্রসঙ্গত, কানহাইয়ালাল হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৯ অভিযুক্তর মধ্যে শুধুমাত্র গোস মহম্মদের বাড়ির লোকই তার সঙ্গে দেখা করতে আসে।
পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্য বিতর্কে নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন রাজস্থানের উদয়পুরের কানাহাইয়া লাল। তা নিয়ে গত ১৭ জুন কানাহাইয়া লালকে খুনের হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করে এক অভিযুক্ত রিয়াজ আটারি। সেই ভিডিয়োটি ফেসবুক এবং উদয়পুরের বিভিন্ন হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। হুমকি পাওয়ার পর ছয়দিন দোকানও খোলেননি। মঙ্গলবারই প্রথম দোকান খুলেছিলেন। সেদিনই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ।