মোদির উপর হামলার ছক PFI-এর, ED-NIA-এর ‘অপারেশন অক্টোপাস’-এ প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য!

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েকদিন ধরে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগশন এজেন্সি (NIA) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) বনাম পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) লড়াই নিয়ে রীতিমতো সরগরম ভারতীয় রাজনীতি (Indian Politics)। এবার ইডির তদন্তে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পিএফআই এর নিশানায় ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিহারের জনসভায় মোদির উপর হামলা করার পরিকল্পনা ছিল পিএফআই-এর! এমনই মারাত্মক পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এল ইডির তদন্তে।

ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহ দুয়েক আগে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়ালালের হত্যাকারী মহম্মদ রিয়াজ এবং মহম্মদ গোসকে হেফাজতে নিতে রাজস্থান পৌছায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ দল। ভুপালপুরা জেলেই ৯০ ঘন্টা টানা জেরা করা হয় দুই অভিযুক্তকে। প্রশ্ন করা হয় পিএফআই সম্পর্কেও। সেখানেই তদন্তকারী আধিকারিকরা কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পান।

সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই বৃহস্পতিবার কর্ণাটক-সহ (Karnataka) দেশের অন্তত ১০টি রাজ্যে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনএআইএ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সম্মিলিত বাহিনী। জঙ্গিদের অর্থ জোগানো-সহ একাধিক অভিযোগে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র (পিএফএআই) ১০০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। এই অভিযানের নামে দেওয়া হয় ‘অপারেশন অক্টোপাস’। অপারেশন অক্টোপাস চলাকালীনই কেরল থেকে গ্রেপ্তার হয় পিএফআই কর্মী শফিক পায়েত। সে ইডিকে জানায়, এই বছরের ১২ জুলাই মোদির পাটনার সভায় তাঁর উপর হামলার করার পরিকল্পনা করে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনটি। সেজন্য তাদের আলাদা করে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল। এই উদ্দেশ্যে ১০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া।

প্রধানমন্ত্রী উপর হামলার পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসতেই এই মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপি। এই বিষয়ে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেন, ‘গোটা দেশে পিএফআই ও এসডিপিআই-কে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্ণাটক ছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গায় একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সংগঠনটির। এদের কুকীর্তির কথা প্রত্যেকেই জানে। কোন জায়গা থেকে তাদের কাছে এতো টাকা আসছে। কারা রয়েছে এই সংগঠনের নেপথ্যে। সেসব জানতেই এই অভিযান চালানো হয়।’

পিএফআইয়ের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী যোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই সংগঠনের মাধ্যমে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি জঙ্গি নিয়োগ করে বলে অভিযোগ সামনে আসছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ সেই অভিযোগেও সত্য বলে প্রমাণ করে দিল। এনআইএ জানিয়েছে, এই পিএফআইয়ের মাধ্যমেই ভারতে জঙ্গি নিয়োগ করত আইসিস, জইশ, আল-কায়দা, লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। এই মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা সংখ্যালঘু যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে শামিল হতেও উৎসাহ দিত জানা যাচ্ছে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর