বাংলাহান্ট ডেস্ক : বড় পদক্ষেপ সিবিআই-এর (CBI)। অনলাইন শিশু যৌন নির্যাতন সামগ্রী (CSEM) সংক্রান্ত ২০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৬টি জায়গায় অভিযান করল সিবিআই। এর নাম ‘অপারেশন মেঘদূত।’ জানা যাচ্ছে সিঙ্গাপুর এবং নিউজিল্যান্ডের ইন্টারপোল ইউনিট থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চলছে এই অভিযান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, এমন অনেক গ্যাং চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা শুধুমাত্র শিশু যৌন পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত সামগ্রীর ব্যবসাই করে না, শিশুদের শারীরিকভাবে ব্ল্যাকমেইলও করে। এই গ্রুপগুলি দুই ভাবে কাজ করে। কখনও দলগতভাবে কখনও বা আলাদা ভাবে। গত বছরও এরকমই একটি অপারেশন চালানো হয়, যার নাম ছিল ‘অপারেশন কার্বন’।
ভারতে শিশু পর্নোগ্রাফি নতুন কোনও ঘটনা নয়। এটি সরকারের কাছে একটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিতে আপলোড করা শিশু পর্নোগ্রাফির ভিডিও এবং বিষয়বস্তু নিয়েও একাধিক বার চিন্তা প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টও। চলতি সপ্তাহে, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২, সুপ্রিম কোর্ট সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশু পর্নোগ্রাফি এবং ধর্ষণের ভিডিও আপলোড করা প্রতিরোধে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে।
এরই সঙ্গে, শীর্ষ আদালত ফেসবুক, টুইটার সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সংস্থাগুলিকে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির এই সংস্থাগুলিকে তাদের প্ল্যাটফর্মে শিশু পর্নোগ্রাফি এবং ধর্ষণের ভিডিও আপলোড করা রোধ করতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানাতে বলে।সিবিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘অভিযুক্তেরা শিশুদের উপর যৌন হেনস্থার ভিডিও, ফটো, লেখা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে গ্রুপ বানিয়ে ছড়িয়ে থাকে। দেশ ও দেশের বাইরের অপরাধ চক্রগুলি একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই এই ধরনের কাজ করে থাকে।’
গত বছর চাইল্ড পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত মামলায়, সিবিআই দেশের ১৪ টি রাজ্যের জালাউন, ইউপির মৌ থেকে নয়ডা এবং গাজিয়াবাদ পর্যন্ত ৭৭ টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল। এ সময় বিভিন্ন শহর থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সিবিআই-এর রাডারে ৫০ টিরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল, যেগুলিতে ৫০০ জনেরও বেশি লোকের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল, যারা এই মামলার সাথে সম্পর্কিত উপাদানগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করেছিল। এই পর্বে সিবিআই এই অভিযান চালায়।