বাংলা থেকে গ্রেফতার পাকিস্তানি চর, রাওয়ালপিন্ডির সঙ্গে যোগসূত্র সন্দেহভাজনের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক মাস ধরেই গোটা বাংলা জুড়ে এসটিএফ-এর (STF) জালে ধরা পড়ছে একের পর এক জঙ্গি। আল–কায়দা (al Qaeda ) থেকে জেএমবি (JMB) গোষ্ঠী, কোনওটাই বাদ নেই বাংলায় ঢুকতে। এবার বেশ বড় রকমের সাফল্য পেল এসটিএফ। গভীর চক্রান্তের পর্দাফাঁস করল রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। আজ শনিবার পাকিস্তানের এক গুপ্তচরকে পাকড়াও করল এসটিএফ আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে সন্দেহভাজন এই যুবককে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কালিম্পং থেকে।পাকিস্তানের সিক্রেট এজেন্ট (Secret Agent of Pakistan) হিসাবে সে কাজ করত বলে এসটিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে। দেশ থেকে তথ্য পাচার করার অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে রাজ্যের এসটিএফ।

এসটিএফ-র বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গ্রেফতার হওয়া যুবকের নাম পীর মহম্মদ। তার সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডিতে থাকা পাক আধিকারিকদে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। দফায় দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই গ্রেফতার রাজ্য পুলিস এসটিএফের একটি বড় সাফল্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই যুবকের মোবাইল থেকে একাধিক ছবিও পাওয়া যায়। তাতেই বোঝা যায় সে গুপ্তচরবৃত্তি করত। কালিম্পংয়ের বিভিন্ন এলাকায় ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কাজ করত যুবক পীর মহম্মদ। আর আড়ালেই এই চরবৃত্তির কাজ চালিয়ে যেত সে।

জানা যাচ্ছে, ভারতের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাকিস্তানে পাচার করত সে। তার মোবাইলে ভারতীয় সেনার বিভিন্ন ক্যাম্পেরও ছবি পাওয়া গেছে। এমনকী সেনা ছাউনিগুলির লোকশনের ছবিও মিলেছে তার ফোনে। পীর মহম্মদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল এবং একটি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। সে গুলি পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক পরীক্ষার। পীর মহম্মদের মোবাইল ঘেঁটে বেশ কিছু পাকিস্তানি নম্বরও হাতে এসেছে। এই নম্বরগুলিতে নিয়ম করে ফোন করত সে।

ভারতের তথ্য পাকিস্তানে পাচার করে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা পেত পীর মহম্মদ। নেপাল এবং বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে তার কাছে টাকা আসত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। নেপালেও এই অভিযুক্ত যুবকের যাতায়াত ছিল। বাংলাদেশে লোকজন থাকলেও সেখানে খুব একটা যেত না এই পাক চর। কারণ এখান থেকে বাংলাদেশ যেতে বা ওখান থেকে ভারতে আসতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় ছিল তার। এই ভয় ছিলনা নেপাল যাওয়ার ক্ষেত্রে। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজ শনিবারই অভিযুক্তকে কালিম্পং আদালতে তোলা হতে পারে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর