বাংলাহান্ট ডেস্ক : যৌনতার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১৯ বছরের যুবতীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। বিজেপি নেতার ওই অভিযুক্ত ছেলের রিসর্ট গুঁড়িয়ে দিল উত্তরাখণ্ড সরকার। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির (PS Dhami) নির্দেশে শুক্রবার রাতেই হৃষীকেশের ভান্তারা রিসর্ট গুঁড়িয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
দিন সাতেক আগে। উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশের কাছে বিজেপি (BJP) নেতা বিনোদ আর্যর ছেলে পুলকিত আর্যর (Pulkit Arya) ছেলের রিসর্টে কর্মরত ১৯ বছরের এক যুবতী নিখোঁজ হয়ে যান। অঙ্কিতা ভাণ্ডারী নামের ওই যুবতীর পরিবার থানায় মিসিং ডায়েরি করে। এদিকে মিসিং ডায়েরি করে রিসর্টের মালিক পুলকিতও। তারপরই অভিযোগ উঠতে থাকে, বিজেপি নেতার ছেলে পুলকিত নিজেই ওই যুবতীকে খুন করেছে। জানা যায়, পুলকিত ওই যুবতীকে যৌনতার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তাতে রাজি না হওয়ায়, তাঁকে খুন করে সে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিযোগ ছড়িয়ে পড়তেই ওই বিজেপি নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিস।
এরই সঙ্গে ওই রিসর্টের ম্যানেজার ও এক কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়। উত্তরাখণ্ড পুলিস দাবি করে, পুলকিত এবং ওই দুই কর্মী মিলে ১৯ বছরের ওই তরুণীকে খুন করেছে। তাঁদের জবানবন্দি অনুযায়ী গতকাল বিকেল থেকে স্থানীয় একটি খালে অঙ্কিতার দেহ খোঁজা হচ্ছিল। শনিবার পচা-গলা অবস্থায় অঙ্কিতার দেহ খুঁজে পাওয়া যায়। সেটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনায় অভিযুক্ত পুলকিতের বাবা উত্তরাখণ্ডের একজন প্রভাবশালী বিজেপি নেতা। একটা সময় রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায় বিজেপি। তাছাড়া শুরুর দিকে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আড়াল করারও অভিযোগ উঠেছিল পুলিসের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় মাঠে নামেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি। তিনি শুক্রবার রাতেই অভিযুক্তর রিসর্ট গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এদিন সকালে এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের কথাও ঘোষণা করেন বলে জানা যাচ্ছে।