বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যেমন এসএসসি, প্রাথমিক টেট থেকে শুরু করে কয়লা এবং গরু পাচার মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ, আবার অপরদিকে কেন্দ্রের দেওয়া টাকা পরিবর্তন করে নিজেদের নামে প্রকল্প বের করে মানুষকে বোকা বানানো; তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে এই সকল অভিযোগ সামনে এনে প্রতিনিয়ত আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। অতীতেও একাধিকবার এই সকল ইস্যুতে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে শুভেন্দুর দাবি, “কেন্দ্র সরকারের টাকা পরিবর্তন করে লক্ষ্মী ভাণ্ডার শুরু করেছে দিদিমণি। তৃণমূল সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় একের পর এক দুর্নীতি মামলা উঠে চলায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রকল্প বাবদ কোটি কোটি টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে বিজেপির পাল্টা দাবি, কেন্দ্রের দেওয়া টাকা নিজেদের নামে চালিয়ে দুর্নীতি করে চলেছে তৃণমূল সরকার। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দকুমারে রক্তদান শিবিরে যোগদান করে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
BJP নেতার দাবি, “তৃণমূল সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্র সরকার যে টাকা দিয়ে চলেছে, তা পরিবর্তন করেই লক্ষ্মী ভাণ্ডারে দিয়ে চলেছে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “গত নয় মাস ধরে চুরি করে চলেছে। পরবর্তীতে হিসাব পর্যন্ত দিতে পারেনি। তাই ১০০ দিনের টাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘জল জীবন মিশন’-এর নাম পরিবর্তন করে হয়েছে ‘জল স্বপ্না’। মিড ডে মিল থেকে শুরু করে অন্যান্য বহু ক্ষেত্রে দুর্নীতি চরমে উঠেছে। কেন্দ্র সরকারকে বলে ওদের খাওয়া বেশ কিছু অংশে বন্ধ করা গিয়েছে। তাই এখন আবার আমার পিছনে পুলিশ লাগিয়েছে।”
পরবর্তীতে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস ফুটো কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিচ্ছে না। ছেলেমেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না। প্রাথমিক চাকরি থেকে আপার এবং এসএসসিতে যথাক্রমে ১০, ১২ এবং ২০ লাখ পর্যন্ত নিচ্ছে। সংখ্যালঘু মানুষরাও ওদের সঙ্গে নেই। পাকিস্তান জিতলে যারা বোম ফাটায়, কেবল তারাই রয়ে গিয়েছে।”
এখানেই না থেমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “কলকাতা থেকে নন্দীগ্রামে এসে বলেছিল, নন্দীগ্রাম ওর ছোট বোন। ফিনাইল বিচিং দিয়ে তাড়িয়েছি। বর্তমানে পুরো দলটাই ভোক্কাটা হয়ে গিয়েছে।” একইসঙ্গে বাংলার পুলিশকেও একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী।
যদিও বিরোধী দলনেতার এ সকল বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। শাসক দলের দাবি, “আমাদের সাথে পেরে না ওঠার কারণে কেন্দ্রের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়ে চলেছে। বাংলার মানুষকে বঞ্চনা করার ষড়যন্ত্র করছে শুভেন্দু।”