বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল মহালয়া পেরিয়ে আজ থেকে শুরু বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব, ‘দুর্গাপুজো’ (Durga Puja)। তবে প্রথমার দিনেও বাদ গেল না রাজনৈতিক উস্কানি! দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এবং তাঁর পাল্টা হিসেবে বিরোধীদের কটাক্ষ মাঝে ইতিমধ্যে সরগরম রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। এর মাঝে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) দাবি, “দুর্গাপুজোর পবিত্রতা নষ্ট করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” যদিও দিলীপবাবুর বক্তব্যের পাল্টা দিতে বেশি সময় নেয়নি তৃণমূল (Trinamool Congress) শিবির।
উল্লেখ্য, এ বছর দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার বেশ কয়েকদিন আগেই একাধিক পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি, শ্রীভূমির পাশাপাশি টালা প্রত্যয় এবং সল্টলেকের একটি পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। একইসঙ্গে, গতকাল চেতলা অগ্রণীর প্রতিমার চক্ষুদান করার পাশাপাশি মোট ২৬৩ টি পুজো ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধী দলগুলি।
দেবীপক্ষের পূর্বে পিতৃপক্ষের সময় যেখানে কোন শুভ কাজ করতে নেই, সেই সময় পুজোর উদ্বোধন কি করে করলেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই ইস্যুকে সামনে এনে কটাক্ষ করে বিরোধীরা। এ সকল বিষয়গুলিকে সামনে এনে এদিন খড়গপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “উনি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন যে, টাকা দেব বলে তাঁর ছবি মণ্ডপে রাখতেই হবে। গতকাল ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজোর উদ্বোধন করেন। পিতৃপক্ষ থেকেই উদ্বোধন শুরু হয়ে গিয়েছে। চণ্ডীপাঠ থেকে সব কাজ উল্টো করছেন। যেহেতু টাকা দেওয়া হয়েছে, সেই জন্য তাঁকেই উদ্বোধন করতে হবে। দুর্গাপূজার পবিত্রতা নষ্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
যদিও দিলীপবাবুর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দিলীপ ঘোষের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই ভুলভাল বকে চলেছে। আমরা মণ্ডপ উদ্বোধন করেছি। পুজোর উদ্বোধন আর মণ্ডপের উদ্বোধন দুটো কখনোই এক নয়। মুখ্যমন্ত্রী যাতে মণ্ডপ উদ্বোধন করেন, সেই জন্য অনেকদিন ধরেই পুজো উদ্যোক্তারা তাঁর কাছে অনুরোধ করে চলেছেন। এর সঙ্গে পুজোয় অনুদান দেওয়ার কোনো রকম সম্পর্ক নেই।”
সম্প্রতি, কর্মসংস্থানে নয়া দিশার উন্মোচন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১ হাজার টাকা নিন। একটু ঘুগনি নিন। সঙ্গে ছোলা ভাজা, বাদাম ভাজা নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। পুজোর সময় এত বিক্রি হবে, কুলোতে পারবেন না।” পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের সমালোচনায় সরব হয় বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে মন্তব্য রাখতে গিয়ে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাকে গালাগাল করলে কিছু যায় আসে না। আমি আজ মহালয়ার দিনে মায়ের কাছে সকলকে ভাল রাখার কামনা করেছি। যারা এসব করে চলেছে, তারা বেশি করে করুন। যদি শান্তিতে ঘুম আসে, তাহলে নিশ্চয়ই করুন।”