বাংলাহান্ট ডেস্ক: জনপ্রিয়তা তাঁর আগে থেকেই ছিল। কিন্তু তা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে ‘অপরাজিত’। তিনি পর্দার সত্যজিৎ রায়, জিতু কামাল (Jeetu Kamal)। ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ হলেও পরিচালক অনীক দত্তের ছবি আলাদা স্বীকৃতি দিয়েছে জিতুকে। অনেকাংশে বাড়িয়েছে পরিচিতি। জিতু এখন আক্ষরিক অর্থেই একজন তারকা।
কিন্তু তাতে কিন্তু জীবনযাপনে খুব একটা বদল ঘটেনি জিতুর। বেড়েছে শুধু ব্যস্ততা। তবে পুজোর দিনগুলোতে কাজ দূরে সরিয়ে রাখবেন তিনি। ওই কটা দিন শুধু স্ত্রী, পরিবার আর বন্ধুবান্ধবদের জন্য তোলা থাকবে। এমনিতেই তারকা সুলভ হাবভাব জিতুর নেই। এর জন্য নাকি সুফল কুফল দুটোই পেয়েছেন জিতু। একদিকে যেমন অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, আবার তেমনি অনুরাগীদের ভালবাসাও পেয়েছেন প্রচুর।
সংবাদ মাধ্যমকে জিতু জানান, এবারেও তাঁর পুজোটা কাটবে অন্যান্য বারের মতোই। আপাতত কিছু ইভেন্ট, পুজো পরিক্রমার কাজ রয়েছে জিতুর। তবে ষষ্ঠী থেকে নিখাদ ছুটি উপভোগ করবেন তিনি। স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বসাবেন বাড়িতে। ফের একবার ফিরে যাবেন পুরনো দিনগুলোতে।
অভিনেতা অভিনেত্রীরা সাধারণত সারা বছর ডায়েট করলেও এই কটা দিন কবজি ডুবিয়ে রকমারি খাবারের স্বাদ চাখেন। আর জিতু জানান, পেটপুজোর জন্য তাঁরা রওনা দেন ব্যারাকপুরের উদ্দেশে। সেখানকার বিরিয়ানি পুজোয় চাইই চাই। আর সেটা বন্ধুদের সঙ্গে গিয়ে খেয়ে তবেই মজা। প্রতিবারই তাই করেন। খ্যাতি পেয়েছেন বলে এবারের পুজো ব্যতিক্রমী হবে না জিতুর কাছে। পাশাপাশি তিনি জানান, পুজোয় মোবাইল ফোনটাও যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করবেন।
প্রসঙ্গত, আগামীতে দুটো ছবির কাজ রয়েছে জিতুর হাতে। ‘অপরাজিত’র প্রভূত সাফল্যের পর ‘তিতুমীর’ ছবির কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। এছাড়াও আরো একটি চমকপ্রদ প্রোজেক্ট রয়েছে তাঁর হাতে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ অবলম্বনে ফের ছবি তৈরি হতে চলেছে টলিউডে। এর আগে একই নামে ছবি তৈরি করেছিলেন কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়। আর নতুন ছবির পরিচালনায় অরুণ রায়। দুটি ছবির মধ্যে সত্যজিৎ কানেকশন জিতু।
পরিচালক, প্রযোজকরা দুর্দান্ত সব ছবির প্রস্তাব নিয়ে আসছেন তাঁর কাছে। সংবাদ মাধ্যমকে আপ্লুত জিতু বলেন, তিনি ভাবছিলেন এস আর এ, এই দুটো শব্দ যেন ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে একে অপরের সঙ্গে। আবারো এমন একটি ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুশি জিতু।