বাংলাহান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি দেশজুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (PFI) সংগঠনের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালায় কেন্দ্র। দেশের ১৫টি রাজ্যে যৌথভাবে অভিযান চালায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের মোট ৯৩টি জায়গায় তল্লাসি অভিযান চালায় এই দুই তদন্তকারী সংস্থা।
এই সংগঠনের শতাধিক নেতা-সমর্থককে বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। গতকালও ফের দেশের একাধিক প্রান্তে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে একাধিক শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। কর্নাটক সরকার-সহ একাধিক রাজ্যের সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে এই সংগঠনকে। সেই মতো এবার সত্যিই নিষিদ্ধ করা হল পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াকে।
এদিন সকালেই এই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। ইউএপিএ আইনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভারতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআই-কে। এই সংগঠনের পাশাপাশি এর সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠন যেমন সিএফআই, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ওমেন্স ফ্রন্টকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এরা দেশবিরোধী ও বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, পিএফআই নামক উগ্র মৌলবাদী ওই সংগঠনের সঙ্গে স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদ্দিন ও সিরিয়ার আইসিস সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ রয়েছে। দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে এদের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ও গত সপ্তাহের অভিযানের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বৈঠকে বসে। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকেই পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত সপ্তাহের বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশবিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করতে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
এরপর গতকালও একটি বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষকর্তারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন এনআইএ-র ডিজি, ইডির প্রধান ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষকর্তারা। এরপরেই আজ সকালে পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
Made in India