বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল হায়দরাবাদের (Hyderabad) একটি পূজামণ্ডপে ঢুকে দুর্গামূর্তি ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগের তির দুই মুসলিম মহিলার দিকে। এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয় তেলেঙ্গানার (Telengana) রাজধানীতে। হামলাকারীদের গ্রেফতারর করেছে পুলিস। এবার, ধৃতদের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে দাবি করল হায়দরাবাদ পুলিস। এই প্রথম নয়, এর আগে একটি গির্জাতেও হামলা চালায় এই দুই মহিলা।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ন’টা নাগাদ দুর্গাপূজার (Durga Puja) প্যান্ডেলে ঢুকে পড়ে বোরখা পরিহিত দুই মহিলা। তারপর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মণ্ডপে থাকা প্রতিমা ভাঙচুর শুরু করে তারা। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের খাইরতাবাদ এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, একটি গির্জাতেও হামলা চালায় ওই দুই মহিলা। ইতিমধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ধৃতদের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে দাবি পুলিসের।
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই দুই মহিলা মা বাবার সঙ্গেই থাকেন। তাঁরা দিজনেই স্ক্রিজোফেনিয়া রোগে আক্রান্ত। ধৃত মহিলার ভাই অসীমুদ্দিন জানান, ‘আমি ঘটনার কথা শুনেছি। আমার বোনেদের সঙ্গে এখনও দেখা হয় নি। আমার মা এবং বোনেরা স্ক্রিজোফেনিয়ায় আক্রান্ত। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।’
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে চলছে দুর্গাপূজার আয়োজন। তারই মাঝে হায়দরাবাদের ঘটনায় কিছুটা হলেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিশেষ করে নেটদুনিয়ায় এনিয়ে জোর তরজা চলছে। তবে হায়দরাবাদে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছে স্থানীয় পুলিস।
গত বছর বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুূজার মণ্ডপে একের পর এক হামলা চালায় মৌলবাদীরা। তারপর সে দেশে শুরু হয় বিক্ষোভ। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন বংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কয়েকদিন আগেও ঢাকায় জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ এবং বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হাসিনা। সেখানেও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু ওই ঘটনার রেশ পড়ে ভারতেও। হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় কূটনৈতিক মঞ্চে ঢাকার কাছে ক্ষোভপ্রকাশ করে নয়াদিল্লি। কিন্তু এবার খোদ হায়দরাবাদে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।