বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পিতৃপক্ষ পেরিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গেলেও রাজনৈতিক বিতর্ক কমার কোনো লক্ষণ নেই! একের পর এক ইস্যুকে কেন্দ্র করে শাসক দলকে আক্রমণ করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। এদিন সেই অস্ত্রে শান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারের বিরুদ্ধে ফের একবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
অতীতেও একাধিক সময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্যের জন্য খবরের শিরোনামে বিরাজ করেন দিলীপ ঘোষ। কখনো মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিস্ফোরক মন্তব্য, তো আবার কখনো ‘উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বাংলার সংস্কৃতিকে শেষ করে দিয়ে চলেছেন’ মন্তব্য করতে দেখা যায় দিলীপবাবুকে।
এদিন সেই ধারা বজায় রেখে বিজেপি নেতা বলে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দূরদর্শী। অনেক ভবিষ্যৎবাণী করে কিন্তু সেগুলো সফল হতে কখনোই দেখা যায় না। আসলে এসব বলে উনি জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। আর তা দেখে মদন মিত্রের মতো লোক অনুপ্রাণিত হচ্ছে। তবে এতে বাংলার কোন লাভ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কেবলমাত্র লাভ হয়ে চলেছে পার্টির। উনি সিরিয়াস রাজনীতির পরিবর্তে হালকা কথা এবং নাচা গানা দিয়ে রাজনীতি করে চলেছেন।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে যখন একাধিক বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলনে বসেছে, আবার অপরদিকে অস্থায়ী পরিবহনকর্মীরাও প্রতিবাদে নেমেছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস একের পর এক দুর্নীতি করে চলেছে। বর্তমানে বাংলায় যা পরিস্থিতি, তাতে একটা কাজ যদি চলে যায়, তবে অন্য কাজ পাওয়া মুশকিল। অন্য রাজ্যে চলে যেতে হচ্ছে। তবে এভাবে আর কতদিন চলবে? মানুষের ধৈর্য শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার যোগ্যতা আছে, সে চাকরি পাচ্ছে না। এভাবে বেশি দিন চলবে না।”
একই সঙ্গে এদিন দিলীপবাবুর গলায় উঠে আসে ‘মানিক’-প্রসঙ্গ। প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ইতিমধ্যে সিবিআই দফতরে হাজির থাকা নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এরপরেই এক প্রকার উধাও হয়ে গিয়েছেন তিনি। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে নিখোঁজ ডায়েরি পর্যন্ত করা হয়েছে।
সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে দিলীপ বলেন, “পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে তথ্য প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা হয়ে চলেছে। তবে সিবিআই কোন ব্যক্তি নয়। ওরা যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার ওপর আদালত রায় দিয়ে চলেছে, তা বেনজির। একটু সময় লাগবে। কিন্তু একবার যদি কাউকে জেলে ঢোকানো হয়, তাহলে সে সহজে ছাড় পাবে না। এরকম অনেকেই ঢুকেছে। অপেক্ষা করুন, আরও যাবে।”