PFI-কে নিষিদ্ধ করায় খুশি সংখ্যলঘুরা, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত পসমিন্দা মুসলিমদের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই (PFI)। মনে করা হয়েছিল এই সিদ্ধান্তের পর হয়ত বিক্ষোভে ফেলে পড়বেন ভারতীয় মুসলমানরা। কিন্তু জানা যাচ্ছে পিএফআই নিষিদ্ধ হওয়ায় নাকি ৮৫ শতাংশ মুসলমানই খুশি। এই দাবি করছে এক শ্রেণীর মুসলিমরাই। এই দাবি করেছেন পসমান্দা মুসলিম গোষ্ঠী (Pasmanda Muslims)। তবে শুধু পসমান্দাই নয়, আরও একাধিক মুসলিম সংগঠন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

পসমন্দা মুসলিম সমাজ বর্তমান ভরতীয় রাজনীতিতে বড় জায়গা করে নিয়েছে। সমস্ত দলই এখন পসমান্দা মুসলিমদের কাছে টানার জন্য তৎপর। বিজেপির মুসলিম বিদ্বেষ নিয়ে বারবারই খোঁচা দেয় বিরোধীরা। সেই ছবিকে বদলাতে উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের পসমান্দা মুসলিম সমাজকে হাতিয়ার করছে পদ্ম শিবির। পসমান্দারাও যে বিজেপির প্রতি বেশ কিছুটা প্রসন্ন তা মাঝেমধ্যেই তাঁদের মন্তব্যে প্রকাশ পায়। এদিনও তেমনই পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাল তারা।

সর্ব ভারতীয় পসমান্দা মুসলিম সমাজের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়, ‘ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজকর্মে যুক্ত থাকা তথাকথিত সামাজিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ভারত সরকারের নিরাপত্তা সংস্থা এনআইএ যে লাগাতার অভিযান করেছে তাতে প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই তথ্যে এটা পরিস্কার যে পিএফআই ভারতের সৌহার্দ্য পূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা এবং ভাতৃত্ব বোধের বিরুদ্ধে কাজ করছে। পিএফআই-র আরও যেসব সামাজিক সংগঠন যারা নিজেদের ভারত হিতৈষী বলে দাবি করে তারাও ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। তাদেরকেও সমর্থন করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’

কারা এই পসমান্দা মুসলিম?

‘পসমান্দা’ একটি ফার্সি শব্দ। যার অর্থ পিছিয়ে পড়া। পসমান্দারা হলেন মুসলিম সমাজের পিছিয়ে থাকা অংশ। ভারতের মুসলিম সমাজের ৮৫ শতাংশই হলমল পসমান্দা মুসলিম। এতদিন ভারতীয় রাজনীতির মূল ধারায় তারা ছিল ব্রাত্য। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বদলায় পরিস্থিতি। নজরে পড়ছে রাজনীতিতে তাদের উপস্থিতিও। উত্তর তথা মধ্য ভারতে পসমান্দা ভোট ব্যাঙ্ক আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একটি বড় রাজনৈতিক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর