বাংলা হান্ট ডেস্ক : চলে এসেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বাংলাদেশেও প্রতিবছর ধুমধাম করে পালিত হয় দুর্গোৎসব। কিন্তু বেশ কিছু বছর ধরে বাংলাদেশের দুর্গাপূজোয় নানান ধরনের সন্ত্রাসের ঘটনা সামনে এসেছে। বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন পূজা মণ্ডপগুলির ওপর হামলা চালিয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। এবারেও সেই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন। প্রশাসনের তরফ থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রধান উৎসবে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কোমর বেঁধে নামা হচ্ছে।
গতবছর বাংলাদেশের কুমিল্লা সহ বিভিন্ন দুর্গাপূজা মণ্ডপে হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। সেই ঘটনার রেশ এখনো তাজা। সেই ঘটনাকে মাথায় রেখে এখন চিন্তার ভাঁজ বাংলাদেশ পুলিশের কপালে। ঢাকা পুলিসের কমিশনার শফিকুল ইসলাম দুর্গাপুজোয় দুই ধরনের হামলার আশঙ্কা করছেন। তিনি মনে করেন মন্ডপে হয়তো সরাসরি জঙ্গি হামলা হতে পারে অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রটিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত ,গত বছর বাংলাদেশের কুমিল্লায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় অশান্তির সৃষ্টি হয় গোটা দেশজুড়ে। এই ঘটনার প্রতিবাদের সামিল হন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে সে দেশের সাধারণ মানুষ।বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের তত্কালীন সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, শুধু কুমিল্লা নয়,চাঁদপুর, চাঁপাইনবাগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারেও মন্দিরে হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা। এ বছর সেই কথা ভেবে রীতিমতো আতঙ্কে সেদেশের হিন্দু বসবাসকারীরা।
কলকাতার মত ঢাকাতেও খুবই জাকজমক ভাবে পালিত হয় দুর্গোৎসব। সারা বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় ৩২ হাজারের মতো দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপে মেটাল ডিটেকটর, সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে যাতে আজানের সময় জোরে মাইক বাজানো না হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টি হলে ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে।