প্রতীক্ষার অবসাস, ভারতে চালু হয়ে গেল 5G! কলকাতাসহ এই শরগুলিতে মিলবে পরিষেবা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। মোবাইল পরিষেবার একটি নতুন যুগে প্রবেশ করল ভারত। বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল যে কবে ভারতে ৫জি পরিষেবা (5G network) চালু করা হবে। অবশেষে সেই নির্ঘণ্ট এল দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন।

আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দে মোদির হাত ধরে ভারতে উদ্বোধন হল ৫জি প্রযুক্তির। প্রাথমিক স্তরে দেশের কয়েকটি বড় শহরে চালু হবে এই পরিষেবা। এরপর আগামী দু’বছরের মধ্যে গোটা দেশ ব্যবহার করতে পারবে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। আজ নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস-এ আনুষ্ঠানিকভাবে ৫জি পরিষেবার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এই অনুষ্ঠানে ভারতের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর যেমন রিলায়েন্স জিও, ভোডাফোন আইডিয়া এবং এয়ারটেল নিজেদের প্রযুক্তিগত ডেমোগুলিও প্রদর্শন করবে৷ ৫জি পরিষেবার ফলে গ্রাহকরা এমন অনেক কিছুই করতে পারবেন যা এর আগে কোনও ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের দ্বারা সম্ভব হয়নি।

টেলিকম ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের দাবি, ৫জি প্রযুক্তি ভারতের পক্ষে খুবই লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হবে। ২০২৩ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতিতে শুধুমাত্র ৫জি প্রযুক্তির দ্বারা প্রায় ৫০ কোটি ডলার অতিরিক্ত আয় হবে। 

ভারতে সম্প্রতি ৫জি স্পেকট্রামের নিলাম হয়েছিল। তাতে অংশগ্রহণ করেছিল রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন ভি এবং আদানি গ্রুপ। টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ এই নিলামের সময় দেড় লক্ষ কোটি টাকার বিড পেয়েছে। যদিও নিলামে ৫জি স্পেকট্রামের সব থেকে বেশি বরাত পেয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স জিও। 

ফিফথ জেনারেশন বা ৫জি স্পেকট্রামের জন্য ৮৮ হাজার ৭৮ কোটি টাকার বরাত পেয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, মোট ১০টি ব্যান্ডের ৭২ হাজার ৯৮ মেগাহার্টজের স্পেকট্রাম নিলামে তোলা হয়েছিল। এর মধ্যে ৭১ শতাংশ বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকায়।

প্রথম ধাপে দেশের ১৩টি বড় শহরে এই পরিষেবা দেওয়া হবে। আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, দিল্লি, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, হায়দ্রাবাদ, জামনগর, কলকাতা, লখনউ, মুম্বাই এবং পুণে শহরে মিলবে পরিষেবা। তবে এই পরিষেবা শুরু হবে দেশের চারটি বড় শহর দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা এবং চেন্নাই থেকে।

যদিও বাকি শহরগুলির গ্রাহকদের ৫জি পরিষেবা পেতে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। টেলিকম সংস্থাগুলি জানিয়েছে, ৫জি-র ট্যারিফ ৪জি-র ট্যারিফের থেকে খুব বেশি হবে না। সুতরাং গ্রাহকদের ৫জি পরিষেবা পেতে হলে খুব বেশি খরচ করতে হবে না। 

রিলায়েন্স জিও-র লক্ষ্য, ২০২৩ সালের শেষ অবধি গোটা ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু করে ফেলবে তারা। এই প্রযুক্তি ৪জি সংযোগের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ দ্রুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে যে কোনও বড় ফাইল, সিনেমা অথবা গান ডাউনলোড করা যাবে কয়েক মুহূর্তেই। এছাড়াও ই-হেলথ, মেটাভার্সের ক্ষেত্রেও অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন ফাইভ-জি ব্যবহারকারীরা।


Subhraroop

সম্পর্কিত খবর