বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘জাতীয় ক্রাশ’ বলতে এখন একটাই নাম মনে ভেসে ওঠে, রশ্মিকা মন্দানা (Rashmika Mandana)। বলিউডের তাবড় অভিনেত্রীদের টেক্কা দিয়ে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির রশ্মিকা এই তকমা ছিনিয়ে নিয়েছেন। না, তিনি কোনো বড় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা জেতেননি, ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেনও খুব বেশিদিন হয়নি। তবুও রশ্মিকাই ‘জাতীয় ক্রাশ’ খেতাবের যোগ্য দাবিদার বলেই ভেবেছেন সিনেপ্রেমীরা।
কিন্তু সবসময় এমনটা মোটেও ছিল না। কেরিয়ারের শুরুর দিকে পদে পদে হেনস্থা হতে হত রশ্মিকাকে। তাঁর অভিনীত একাধিক ছবি নিয়ে ট্রোল হয় নেটমাধ্যমে। বিশেষ করে বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে ‘ডিয়ার কমরেড’ ছবিতে রশ্মিকার চুম্বন দৃশ্য নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। নজিরবিহীন ভাবে সমালোচিত হতে হয়েছিল রশ্মিকা ও বিজয়কে।
‘ডিয়ার কমরেড’ বিজয়ের সঙ্গে রশ্মিকার দ্বিতীয় ছবি। তখন সদ্য ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছেন অভিনেত্রী। ডিয়ার কমরেড ছবিতে দুজনের একটি চুম্বনের দৃশ্য ছিল যা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছিল ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পরপরই। দর্শকদের একাংশ দাবি করেছিল, চুম্বন দৃশ্যটি অত্যন্ত অশ্লীল। আর এর জন্য বিজয় এবং রশ্মিকা দুজনেই ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, প্রচার পেতে এসব অশ্লীলতা ছড়াচ্ছেন তাঁরা।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে রশ্মিকা জানান, ওই ঘটনার কী প্রভাব পড়েছিল তাঁর মনে। মাসের পর মাস ধরে চলেছিল ট্রোলিং। নিজের সম্পর্কে ক্রমাগত নেতিবাচক কথা শুনতে শুনতে আর পড়তে পড়তে মন ভেঙে গিয়েছিল রশ্মিকার। এমনকি রাতে দুঃস্বপ্নও দেখতে শুরু করেছিলেন তিনি।
রশ্মিকা বলেন, তিনি স্বপ্ন দেখতেন যেন তিনি একা হয়ে গিয়েছেন। সবাই তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এমন স্বপ্ন নিয়মিত দেখতে শুরু করেছিলেন তিনি। মাঝে মাঝেই দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যেত তাঁর। বাকি রাতটা কাটত বিছানায় বসে চোখের জল বইয়ে। অবসাদে ভুগছিলেন রশ্মিকা। অথচ এ ব্যাপারে বাবা মাকেও কিছু বলতে পারছিলেন না। কারণ মেয়েকে এই অবস্থায় দেখলে তাঁদের মন ভেঙে যেত।
সেই জায়গা থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন রশ্মিকা। ‘পুষ্পা’র মতো একটা বড় ব্রেকের পর এখন নিজের ইন্ডাস্ট্রিতে তো বটেই, বলিউডেও যথেষ্ট জনপ্রিয় তিনি। আগামীতে পরপর দু তিনটে হিন্দি ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের।