বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল মহা দশমী উপলক্ষ্যে প্রতিমা বিসর্জন করতে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মালবাজারের অন্তর্গত মাল নদীতে (Mal River) পৌঁছে যায় অসংখ্য মানুষ। তবে পরবর্তী সময়ে হড়পা বান আসার কারণে মুহূর্তের মধ্যেই জলের তীব্র গতিতে ভেসে যায় অনেকেই। এই ঘটনা ইতিমধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি গুরুতর জখম বহু। এই ঘটনা ইতিমধ্যেই শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নাম।
মালবাজারের হড়পা বান কাণ্ডে একটি ফেসবুক পোস্টে দিলীপ ঘোষ লেখেন, “দেবীর গমনের দিন বিষাদের পরিবেশ। জলপাইগুড়ির মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করার সময় হড়পা বান আসার ঘটনায় নিখোঁজ ৩০ থেকে ৪০ জন। বিজেপি কার্যকর্তারাও উদ্ধার কার্যে হাতে লাগিয়েছেন। মৃতদের আত্মা শান্তি কামনা করি। তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। বাকিরা যেন সুস্থ এবং অক্ষত থাকে, এটাই মায়ের কাছে প্রার্থনা করছি।” একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন দিলীপ।
পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিজেপির কার্যকর্তারা উদ্ধারকার্যে নিজেদের হাত লাগিয়েছেন। মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আহতরা যেন সুস্থ থাকেন।”
উল্লেখ্য, গতকাল দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে আচমকা হড়পা বান আসার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। পরবর্তীতে বৃষ্টি আসার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকে উদ্ধার কার্য। পরবর্তীতে বহু সংখ্যক মানুষকে উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করার সময় সেখানে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও দুর্ঘটনা এড়ানো গেল না কেন?
যদিও এক ডিফেন্স কর্মী জানান, “আমাদের কাছে কেবলমাত্র দড়ি ছিল। যদি আরো কয়েকজন কর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতো, তবে উদ্ধারকার্য আরো দ্রুত হতো।”
সূত্রের খবর, মাল নদীতে আগে থেকেই বোল্ডার ফেলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নদীর যে দিকে স্রোত বেশি ছিল, সেখানেই বিসর্জন করা হয়ে চলেছিল। এক্ষেত্রে কয়েকদিন আগেও এই নদীতে হড়পা বান আসে। তবে সবকিছু জানা সত্ত্বেও কেন বিসর্জনের অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠে গিয়েছে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন।