বাংলাহান্ট ডেস্ক : বড় সাফল্য এনসিবি (NCB) এবং ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy)। দুই সংস্থার সম্মিলিত বাহিনী কেরলে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার ২০০ কিলোগ্রাম আফগান হেরোইন উদ্ধার করল। জানা যাচ্ছে, একটি ইরানিয়ান জাহাজ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ মাদক। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, ওই জাহাজটি আফগানিস্তান (Afganistan) থেকে পাকিস্তানের (Pakistan) দিকে যাচ্ছিল। এর কিছুটা অংশ ভারত (India) এবং শ্রীলঙ্কাতেও (Sri Lanka) বিক্রির পরিকল্পনা ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
এই জাহাজটি থেকে ৬ জন ইরানিয়ান নাগরিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ভারতীয় নৌসেনা সূত্রে খবর। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হাদি সালিমের দল এই বিরাট অংকের হেরোইন পাচারের পিছনে রয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানান, হেরোইনের প্যাকেটগুলিতে কাঁকড়াবিছে আরও ড্রাগনের শিলমোহরও লাগানো ছিল।
নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মাদক পাচারের পিছনে হাত রয়েছে হাদি সেলিম দলের। হাদি সলািম চক্র পাকিস্তানে বসে গোটা বিশ্বের একাধিক দেশে মাদক পাচার করে। এনসিবির এক আধিকারিক সঞ্জয় কুমার সিং বলেন, ‘ভারতীয় নৌসেনা এবং এনসিবির সম্মিলিত বাহিনী বৃহস্পতিবার একটি সমুদ্র অভিযান করে। এই অভিযানেই ধরা পড়ে ৬ ইরানিয়ান নাগরিক সহ বিপুল পরিমাণ মাদক।’ তিনি আরও জানান, এই ড্রাগস যে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে প্যাকেট করা হয়েছিল তার ছাপ পাওয়া গেছে। প্যাকেটের গায়ে শিলমোহর ছিল কাঁকড়াবিছে এবং ড্রাগনের চিহ্নের।
আধিকারিকরা জানান এই ড্রাগসের প্যাকেজিং-এও অভিনবত্ব ছিল। সাতটি স্তরে প্যাকেট করা হয় এই বহুমূল্যের ড্রাগসকে। ভারতীয় নৌসেনা বাহিনী দেখে তারা মাদক জলে ফেলে দিতে চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হয়নি তারা। তার আগেই বাহিনী হাতে পাকড়াও হয় সকলে। তবে জলে ফেলে দিলেও এই মাদক নষ্ট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। জানা যাচ্ছে, যাতে জল ঢুকতে না পারে সেভাবেই প্যকেট করা হয় এই মাদক।