বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের একবার আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা। দুর্গাপুজোতে (Durga Puja) সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা এড়ানো গেলেও বিজয়া দশমীর ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই ফের একবার আক্রান্ত হিন্দু সম্প্রদায়। প্রাচীন কালী মন্দিরে (Kali Mandir) ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি কালী প্রতিমার গলা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার অন্তর্গত দউতিয়া গ্রাম। সূত্রের খবর, গতকাল কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে প্রাচীন একটি কালী মন্দিরে ভাঙচুর চালায়। একই সঙ্গে কালী প্রতিমার গলা কেটে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে মন্দির কমিটির প্রেসিডেন্ট জানান, “দুষ্কৃতীরা এসে কালী প্রতিমা ভেঙে দিয়ে গিয়েছে। মূর্তির গলা কেটে ওরা এক কিলোমিটার দূরত্বে ফেলে দিয়ে আসে। ব্রিটিশদের সময় থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা এই মন্দিরে পুজো করে আসছে। এই ঘটনা নিন্দনীয়।”
বাংলাদেশে পুনরায় একবার আক্রমণ চালানো হলো সংখ্যালঘু হিন্দু মন্দিরের ওপর। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। নিন্দায় সরব একাধিক মহল। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের উদ্দেশ্যে সন্ধান শুরু করেছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, অতীতেও একাধিক সময় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে, যা ঘিরে শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এ বছর দুর্গা পুজোতেও সাম্প্রদায়িক হিংসার আশঙ্কা প্রকাশ করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশও দেন তিনি। পরবর্তীতে শারদ উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা গেলেও তা শেষ হওয়ার কিছু সময় কাটতে না কাটতেই পুনরায় একবার দেখা দিল হিংসা।
এক্ষেত্রে হিন্দুদের ওপর হামলার এই ঘটনাগুলিতে সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাঁর দাবি, “বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়ে চলেছে। এ সকল হামলা সরকারকে বদনাম করার জন্য হয়ে চলেছে।” এক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।