বাংলাহান্ট ডেস্ক : কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) আজ ৩১ তম দিন। এদিনের ভাষণে বিজেপি (BJP) তথা আরএসএসকে (RSS) তীব্র আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের নেতারাই স্বাধীনতা সংগ্রামে লড়াই করেছিলেন। মহত্মা গান্ধী, জহওরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলরা দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু আরএসএস ইংরেজদের সমর্থন করেছিল। আর বিনায়ক দামোদর সাভারকার ইংরেজদের থেকে টাকা পেতেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজেপিকে কোথাও খুঁজেই পাওয়া যায় না।’
এদিন রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ‘আমাদের এই ভারত জোড়ো যাত্রা আরএসএস এবং বিজেপির দেশ জুড়ে প্রচার করা হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই। আমি ভারতে ঐক্য ফেরাতে বেড়িয়েছি।’ পিএফআই প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করে না যে হিংসার প্রচার করা ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের। ঘৃণা এবং হিংসা ছড়ানো দেশদ্রোহী কাজ। আর আমরা এই জাতীয় মানুষদের বিরুদ্ধেই লড়াই করছি। কংগ্রেস এমনই একটি রাজনৈতিক দল, যারা সংবিধানে বিশ্বাস করে।’
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আদানি রাজস্থানে ৬০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোনও মুখ্যমন্ত্রী এমন প্রস্তাব অস্বীকার করতে পারেন না। একজন মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে এমন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা উচিতও হবে না।’ রাহুল আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে কিছু নির্বাচিত ব্যবসায়ীকে সাহায্য করার বিষয়ে আমার আপত্তি রয়েছে। আমি সেই দুই বা তিনজন ব্যবসার বিরোধিতা করি যারা দেশে একচেটিয়া ভাবে বাণিজ্য করছে এবং তাদের রাজনৈতিকভাবে সাহায্য করা হচ্ছে।’
শনিবার ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই কর্ণাটকে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী। সেখানে উঠে আগে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের কেউ অংশ নিচ্ছেন না তা নিশ্চিত। জল্পনা উঠতে শুরু করেছে, কংগ্রেসের পরবর্তী যিনি সভাপতি হবেন, তিনি গান্ধী পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন। সেই জল্পনায় জল ঢেলে দেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, কংগ্রেসের কোনও নেতাই কারও নিয়ন্ত্রণে থাকেন না। যিনি সভাপতি হবেন, তাঁর উপরেও কোনো নিয়ন্ত্রণে থাকবেন না। তিনি বলেন, এই ধরনের মন্তব্য গান্ধী পরিবারের সদস্য ও পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি উভয়ের জন্যই অপমানজনক।