বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি এক জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজে বিখ্যাত সংলাপ শোনা যায়, “বিহারের (Bihar) রাজনীতি আপনি কোনদিন বুঝতে পারবেন না।” সাম্প্রতিক সময় বাস্তবেও যেন সেই একই চিত্র ধরা দিয়ে চলেছে। কখনো বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সঙ্গ ছেড়ে পুনরায় একবার প্রাণের ‘বন্ধু’ লালুর হাত ধরতে দেখা যায় নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar), আবার অপরদিকে স্রোতের বিপরীত দিকে গিয়ে নিজের পুরোনো দলের বিরুদ্ধে আক্রমণের পথে হেঁটে চলেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)।
সেই ধারা বজায় রেখে এদিন লালপুত্র তেজস্বী যাদবকে উদ্দেশ্য করে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন পিকে। সম্প্রতি, বিহারে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে কংগ্রেস এবং লালু প্রাসাদের আরজেডির হাত ধরে পুনরায় একবার বিহারের ক্ষমতায় বসে নীতীশ কুমার। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি তেজস্বী যাদব এবং অন্যান্য একাধিক নেতা মন্ত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া ঘিরে একের পর এক বিতর্ক জন্ম নিয়েছে।
এসকল ইস্যুকে সামনে এনে একদিকে যখন নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিজেপি, আবার অপরদিকে গোটা রাজ্যজুড়ে ‘জন সুরাজ’ কর্মসূচি করে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর। অতীতেও একাধিকবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি আর এবার পিকের গলায় উঠে এলো তেজস্বী-প্রসঙ্গ।
উল্লেখ্য, জন সুরাজ কর্মসূচি চলাকালীন রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে পথযাত্রায় সামিল হয়ে চলেছেন প্রশান্ত। এ ক্ষেত্রে গতকাল পশ্চিম চম্পারণ জেলার ধানাউজি এলাকাi পৌঁছে গিয়ে সেখানকার মানুষদের সঙ্গে অভাব এবং অসুবিধার কথা আলোচনা করেন পিকে। পরবর্তীতে তিনি দাবি করেন, “নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখে চলেছেন।”
প্ৰশান্ত কিশোর আরও বলেন, “লালুজির ছেলে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। অথচ তিনি বর্তমানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, অথচ সাধারণ মানুষের ছেলেমেয়েরা পিওনের চাকরি পর্যন্ত পায় না। এক্ষেত্রে নেতা মন্ত্রীদের ছেলেমেয়েদের জন্য তাদের বাবা-মা রয়েছে, কিন্তু সাধারণ মানুষকে ভাগ্যের উপর ভরসা করে থাকতে হচ্ছে।”
এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, নীতীশ কুমারের সমালোচনা করা পর্যন্ত ঠিক ছিল, তবে লালু-পুত্রের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়ার মাধ্যমে কি বার্তা দিতে চাইলেন পিকে? এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে গোটা বিহার রাজ্যের সাধারণ মানুষের অভাব ও অসুবিধার কথা শুনতে চাইছেন প্রশান্ত কিশোর। ফলে তাদের সমস্যার কথা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া এবং মনের ভাব তুলে ধরার চেষ্টাই করে চলেছেন তিনি।