বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘নাম’ এবং ‘নির্বাচনী প্রতীক’ নিয়ে বহুদিন ধরেই দ্বন্দ্ব লেগে রয়েছে উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) বনাম একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) শিবিরে। প্রত্যেকেই শিবসেনার (Shiv Sena) নাম এবং চিহ্ন নিজেদের দখলে করার চেষ্টায় লেগে থাকে। আর এবার উভয়পক্ষকে হতাশ করে শিবসেনা নামের পাশাপাশি দলের প্রতীক ‘তির ধনুক’ ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাণিজ্য নগরীতে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন দলীয় নেতা একনাথ শিন্ডে। পরবর্তীতে পঞ্চাশের কাছাকাছি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে দলত্যাগ করেন তিনি এবং বিজেপির সঙ্গে যোগদানের মাধ্যমে উদ্ধব শিবিরের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় বসেন।
উল্লেখ্য, এরপর থেকে একের পর এক নাটকীয় মোড় দেখা যায় মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে। এক্ষেত্রে শিবসেনার নাম এবং প্রতীক নিজেদের দখলে করতে মরিয়া হয়ে ওঠে দুই পক্ষ। একদিকে শিবসেনার চিহ্ন নিজেদের বলে দাবি করে একনাথ। আবার অপরদিকে, পুরানো নাম এবং প্রতীক ছেড়ে দিতে নারাজ থাকেন উদ্ধব আর এই সকল ইস্যুকে কেন্দ্র করে এবার বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।
এক্ষেত্রে অতীতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে বিরত থাকার প্রার্থনা জানালেও এক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্রের সাক্ষী থাকলো জনগণ। আসন্ন আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা উপনির্বাচন। তার পূর্বে দুই গোষ্ঠীকে হতাশ করে নির্বাচন কমিশনের আদেশ, “শিবসেনার নাম এবং প্রতীক, দুটিই ব্যবহার করতে পারবে না কোন শিবির।” এক্ষেত্রে আগামী ১০ ই অক্টোবরের মধ্যে নয়া প্রতীকের ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উদ্ধব এবং একনাথ শিবিরকে।”
সূত্রের খবর, বিধানসভা উপনির্বাচনের পূর্বে শিবসেনার দলীয় প্রতীক ব্যবহার করার জন্য আবেদন করেন শিন্ডে। যদিও এক্ষেত্রে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “শিন্ডে দলত্যাগ করেছেন। এই কারণে কখনোই দলীয় প্রতীক ব্যবহার করার দাবি করতে পারেন না তিনি।” পরবর্তীতে দুই পক্ষের দাবিদাওয়া শোনার পর নাম এবং প্রতীক ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।