বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছেলের পাপ ঢাকতে গিয়ে মা হয়ে উঠলেন খুনি। সম্প্রতি মর্মান্তিক একটি ঘটনার সাক্ষী থাকলো সারা দেশ। ছেলে ধর্ষণ করেছিল এক নাবালিকাকে। এর ফলে সেই নাবালিকাটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিচারের জন্য গ্রামে বসে খাপ পঞ্চায়েতের মাতব্বরদের বিচার সভা। সেই বিচার সভায় ঠিক হয় অভিযুক্তের সাথে বিয়ে দেওয়া হবে নাবালিকার। এরপর বিয়ের দিন নিজেদের বাড়িতে ডেকে গায়ে পেট্রোল ঢেলে কিশোরীকে হত্যা করল ধর্ষকের মা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় সেই নাবালিকার। অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
মৃত নাবালিকার মা বলেছেন, তিন মাস আগে তার মেয়েকে এলাকারই এক যুবক ধর্ষণ করে। লোক লজ্জার ভয় সেই নাবালিকা পরিবারের কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু সম্প্রতি সেই নাবালিকাটির পেটে শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা। তখন সে তার বাড়িতে জানায় পুরো ঘটনা। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানানো হয় যে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা।
জানা যায়, এলাকার অভিষেক নামের এক যুবক ধর্ষণ করেছে ওই নাবালিকাকে। এরপর বিচারের আশায় নাবালিকার পরিবার দ্বারস্থ হয় পঞ্চায়েতের। সেখানে মাতব্বররা ডেকে পাঠান দুই পরিবারের সদস্যদের। সেখানে তারা রায় দেয় যে অভিযুক্তকে বিয়ে করতে হবে এই অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাটিকে। খাপ পঞ্চায়েতের নির্দেশ মেনে গত ৬ অক্টোবর আয়োজন করা হয় বিয়ের। সেই দিনই অভিযুক্তর মা নাবালিকাকে ডেকে পাঠান তাদের বাড়িতে।
এরপর একটি ঘরে বন্দি করে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে দেন তিনি। এরপর স্থানীয়দের চেষ্টায় তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় এলাকার হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাবালিকার। পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পকসো আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ৩৭৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে।