বাংলাহান্ট ডেস্ক: সারা বছর ধরে দম ফেলার ফুরসত না থাকলেও পূজোর দিন চুটিয়ে আনন্দ করেন তারকারা। দূর্গাপুজো শেষ হয়ে আজ লক্ষ্মীপুজো। আর আজ থেকেই ফের ব্যস্ততা শুরু হয় দেবলীনা কুমারের (Devlina Kumar)। দু বাড়ির পুজো সামলে এদিন থেকেই ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় তাঁর। তবে কাজের চাপ প্রচুর থাকলেও সবটা ভালবেসেই করেন দেবলীনা।
বিধায়ক দেবাশিস কুমারের মেয়ে দেবলীনা পেশায় একজন নৃত্যশিল্পী। পাশাপাশি টুকটাক অভিনয়ও করেন তিনি। বিয়ে হয়েছে ঐতিহ্যবাহী চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। উত্তম কুমারের নাতবৌ এখন তিনি। আর বিয়ের পর থেকেই মহানায়কের বাড়ির লক্ষ্মী পুজোর দায়িত্ব এসে পড়েছে বাড়ির বউ দেবলীনার কাঁধে।
অবশ্য একটা বাড়ি নয়, দেবলীনার নাচের স্কুলেও ধুমধাম করে লক্ষ্মীপুজো হয়। দক্ষ হাতে দুদিকই সামলান দেবলীনা। নাচের স্কুলের পুজোর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আর বিয়ের পর থেকেই সময় ম্যানেজ করে দু বাড়ির পুজো করছেন দেবলীনা।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, শনিবারই শ্বশুরবাড়িতে প্রতিমা এসেছে। মাকে বরণ করে সকালে নিজের স্কুলের পুজোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি। তবে একটা সুবিধা রয়েছে দেবলীনার। দুই বাড়ির মধ্যে দূরত্ব মাত্র পাঁচ মিনিটের। তাই ভাল ভাবেই সামলাতে পারেন সবদিকটা।
দেবলীনার শ্বশুরবাড়ি ঘটি। তাই পুজোয় অন্নভোগ হয় না। লুচি, আলুর দম, ধোকার ডালনা থাকছে ভোগে। অন্যদিকে দেবলীনার স্কুলের পুজোর ভোগে থাকবে পোলাও, পাঁচ রকম ভাজা, ছানার ডালনা, পায়েস। সোশ্যাল মিডিয়ায় মা লক্ষ্মীকে বরণের ছবিও শেয়ার করেছেন দেবলীনা গৌরব।
গত বছর বিয়ের পর প্রথম বারের লক্ষ্মীপুজো ছিল দেবলীনার। বেশ নিষ্ঠাভরেই পালন করেছিলেন সবকিছু। চট্টোপাধ্যায় বাড়ির কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর নামডাক কারোর অজানা নয়। স্বয়ং মহানায়ক উত্তম কুমার শুরু করেছিলেন এই পুজো। দাদুর সেই ঐতিহ্য বজায় রেখে এখন পুজো করেন নাতি গৌরব।
প্রত্যেক বছর উত্তম কুমারের আসনে বসেই পুজো করেন তিনি। গত বছর স্ত্রী হিসাবে দেবলীনার কাঁধেও পড়েছিল গুরু দায়িত্ব। প্রথা মেনে লাল পাড় সাদা শাড়ি, সোনার গয়না, সিঁথি ভর্তি সিঁদুরে সেজে উঠেছিলেন দেবলীনা। রীতি অনুযায়ী বাড়ির বৌদের সঙ্গে পুজোর ঘট স্থাপন করেছিলেন। গৌরবের পাশে বসে নিষ্ঠাভরে সমস্ত দায়িত্বও পালন করেছিলেন।