বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিনোদুনিয়া থেকে রাজনৈতিক মহল, সর্বত্র চর্চায় এখন একটাই নাম, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। গত শনিবার রেড রোডে দূর্গাপুজোর কার্নিভ্যালে অভিনেত্রীকে দেখে অনেকেরই ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হয়েছিল। সটান মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। তাই নিয়েই চলছে বিতর্ক।
এই প্রথম দূর্গাপুজোর কার্নিভ্যালে এসেছিলেন স্বস্তিকা। মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গিয়ে আলাপ করেন তিনি। উপহারে পান চকোলেটও। সেসব ছবি শেয়ার করে স্বস্তিকা লিখেছিলেন, ‘অনেক বছর পর আবার আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল কার্নিভ্যালে দেখা হল। একটা দারুন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন তিনি, আর কলকাতা পুলিসও কি দারুন কাজ করেছে!’
সঙ্গে তিনি আরো লিখেছিলেন, ‘দিদি’ অদমনীয় ইচ্ছাশক্তি এবং তেজী ব্যক্তিত্বের অনুরাগী তিনি চিরদিনই। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে নাকি চকোলেটও উপহার পেয়েছেন স্বস্তিকা। দক্ষিণপাড়া দূর্গোৎসব কমিটির হয়ে কার্নিভ্যালে গিয়েছিলেন তিনি। আর গিয়ে যে বেশ মজাও হয়েছে সেটাও জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
এরপরেই ওঠে সমালোচনার ঝড়। এত তাড়াতাড়ি বিপ্লব শেষ হয়ে গেল আপনার? শেষে আপনিও বদলে গেলেন? এমনি সব কমেন্ট উড়ে এসেছে। এমনকি স্বস্তিকার ইন্ডাস্ট্রির সতীর্থ শ্রীলেখা মিত্র পর্যন্ত কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এবার বিষয়টা নিয়ে মুখ খুললেন স্বস্তিকা। একটি লম্বা পোস্টে যাবতীয় সমালোচনা, নিন্দার জবাব দিয়েছেন তিনি।
কী লিখেছেন স্বস্তিকা? তিনি জানিয়েছেন, একটি ক্লাবের সঙ্গে এই প্রথম বার কার্নিভ্যালে গিয়েছিলেন তিনি। যে সমস্ত পুজো কমিটি, ক্লাব সেখানে ছিল সমস্তই এই রাজ্যেরই। রাজ্যের কি খারাপ অবস্থা সেটা ভেবে কেউ বাড়িতে বসে পুজো বয়কট করেনি।
তিনি লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ায় তাঁকে নমস্কার করে বিজয়া জানানোটা ভদ্রতা, সৌজন্য। আমায় দুটো চকলেট দেওয়াটা ওনার ইচ্ছে, সেটা খেয়ে নেওয়াটা আমার। চকলেট নিয়েছি ইলেকশন টিকিট নয়, চকলেট খেয়েছি মোটা টাকার ঘুষ নয়। আমরা একটা সভ্য দেশে বাস করি, বর্বর নই। কাল দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলেও একই ভাবে নমস্কার করব কারণ সেটাই ঠিক।’
তিনি স্পষ্টই লিখেছেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিত্বকে আমি শ্রদ্ধা করি। তার মানে রাজনৈতিক মতবিরোধিতার সঙ্গে আপোষ করা নয়। যেটা অন্যায় তা নিয়ে নিশ্চই বলব কিন্তু পৃথিবীর সমস্ত বিষয় নিয়ে আমায় জিহাদ ঘোষনা করতেই হবে নাহলেই আমার মেরুদন্ড ধ্বসে পরবে এমন কোনো দাসখত আমি লিখিনি। আর আমার ধ্যান ধারণা বিবেক বিচার আপনাদের কথায় ওঠা নামা করেনা।’ সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, এরপরেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে তিনি নমস্কার জানাবেন এবং চকোলেট দিলেও নেবেন।