বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের হড়পা বানের কবলে পড়ে দুর্ঘটনা। এবার কলকাতার নিমতলা ঘাটে। সোমবার রাতের এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ তিনজন। বেলেঘাটা নিবাসী কয়েকজন গত সোমবার রাতে নিমতলা ঘাটে একটি মৃত দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে আসেন। এরপর রাত ১১ টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ গঙ্গায় হড়পা বান আসে। সেই সময় গঙ্গার পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শ্মশান যাত্রীরা সবাই উপরে উঠে এলেও দেখা যাক তাদের মধ্যে ৬ জন আসেননি।
দীপক যাদব, ভিকি সিং এবং সন্তোষ সোনকার নামের ওই তিনজনের বয়সই ২৮ থেকে ৩০ বছরের কাছাকাছি । নিখোঁজ যুবকেরা প্রত্যেকেই বেলেঘাটার বরফকলের বাসিন্দা। নিখোঁজদের খোঁজে গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়ে চলছে জোর তল্লাশি। রাতেই ঘটনাস্থলে যান ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শচীন সিং। তিনি বলেন, “পুলিশি বাধা না মেনেই গঙ্গায় নেমেছিলেন পাঁচ যুবক। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে উদ্ধার করা হয়। বাকি তিনজনের খোঁজ চলছে।”
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, হড়পা বান সম্বন্ধে আগেভাগে সতর্ক করা হলেও শ্মশান যাত্রীরা সেই কথা শোনেননি। ওই ৬ জন পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নামেন ঘাটে । এরপর বানের দাপটে তারা গঙ্গায় তলিয়ে যেতে থাকেন। এদের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ হয়ে যায় আরো তিনজন।বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বাকি তিন নিখোঁজ থাকা ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে।
গতকাল রাতের এই ঘটনা ফের একবার আমাদের মনে করিয়ে দিল দশমীর রাতে ঘটে যাওয়া মাল নদীর দুর্ঘটনার কথা। প্রতিমা নিরঞ্জন করার সময় মান নদীতে হঠাৎই আসে হড়পা বান। বহু মানুষ সেই বানের স্রোতে নদীতে তলিয়ে যেতে থাকেন। কিছু মানুষ সাঁতরে নিজদের বাঁচাতে সক্ষম হন।আবার কিছু মানুষকে স্থানীয়দের সাহায্যে বাঁচানো সম্ভব হয়।কিন্তু প্রাণ হারাতে হয় ৮ জনকে। এই ঘটনার পর তুমুল আলোড়ন পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযোগের আঙ্গুল উঠতে থাকে প্রশাসনের উপর।