বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) হেফাজতে। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসে চলেছে। সম্প্রতি আদালতের নিকট চার্জশিট পেশ করে সিবিআই (CBI) আর উক্ত চার্জশিটে তৃণমূল কংগ্রেসেরই সাংসদ শতাব্দীর রায়ের (Shatabdi Roy) নাম রয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর সামনে আসতে থাকে। এবার এই প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী শতাব্দী রায়।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। পরবর্তীতে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে বঙ্গবাসীর সামনে। এক্ষেত্রে অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও আত্মীয়দের নামে কোটি কোটি টাকা সম্পত্তির হদিস পায় সিবিআই। একই সঙ্গে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে বিপুল পরিমাণ জমি এবং কোম্পানির খোঁজ পায় তারা। এই সকল ইস্যুকে সামনে রেখে সম্প্রতি আদালতের নিকট ৩৫ পাতার একটি চার্জশিট পেশ করে সিবিআই।
বর্তমানে সিবিআইয়ের চার্জশিট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। সূত্র মারফত জানা যায়, তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার এবং অন্যান্য কর্মী ছাড়াও নাম রয়েছে তৃণমূলেরই সাংসদ শতাব্দী রায়ের।
বলে রাখা ভালো, বিগত সময়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে শতাব্দী রায়ের মনোমালিন্য নিয়ে একাধিক খবর সামনে আসতে থাকে। এক্ষেত্রে জল্পনা রটে যায়, গত বিধানসভা নির্বাচনে অনুব্রতর কারণেই দল ছাড়তে চলেছিলেন শতাব্দী। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে অবশ্য তৃণমূল নেতার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে অভিনেত্রী জানান, “বর্তমান সময় আমাদের সকলের উচিত অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ানো। ওনার পাশে থাকার সময় এসেছে।”
যদিও এ সকল মন্তব্যের পরেও সিবিআইয়ের চার্জশিটে শতাব্দীর রায়ের নাম কি করে এলো, তা নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গিয়েছে। জল্পনা উঠতে শুরু করেছে, তবে কি সিবিআইয়ের নিকট অনুব্রতের বিরুদ্ধে এমন কোন গোপন তথ্য দিয়েছেন শতাব্দী, যার জন্য তাঁর নাম চার্জশিটে জায়গা পেয়েছে? আর এ সকল জল্পনা মাঝে অবশেষে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর সাফ জবাব, “অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনরকম অভিযোগ জানাইনি।”
শতাব্দী বলেন, “অনুব্রতর বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ার কোনো রকম প্রশ্ন নেই। তা সত্ত্বেও আমার নাম কেন সিবিআই চার্জশিটে রাখা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে কিছু জানি না। ওরা আমায় একটা ফোন নম্বর দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করে, ওই নম্বরে কোন রকম কথোপকথন করা হয়েছে কিনা? সেই সময় আমি বলি যে, ওই নম্বরটি আমার কাছে থাকে না। কোনো কর্মসূচির কথা জানানোর হলে তা বোলপুরের সহকারীর মাধ্যমে জানানো হয়।”
শেষে তৃণমূল সাংসদের সাফ জবাব, “সিবিআই আমার কোন বয়ান রেকর্ড করেনি। এর পরেও যদি সাক্ষী হিসেবে কাঠগড়ায় তোলা হয়, তাহলে স্পষ্ট জানাবো যে, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আমার কোনরকম অভিযোগ নেই।”