রান্নাঘরের নীচে খুঁজে পেল ‘গুপ্তধন’, রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল গ্রামের দম্পতি

বাংলাহান্ট ডেস্ক: গুপ্তধনের (Treasure Hunt) গল্প বই অথবা পর্দায় প্রায়শই দেখা যায়। কেউ হয়তো বাড়ি বানাচ্ছেন, মাটি খুঁড়ে হঠাৎ পেয়ে গেলেন এক ঘড়া মোহর। অথবা বাড়িতে কোনও গোপন সূত্র আবিষ্কার করলেন। যার মর্ম উদ্ধারে বোঝা গেল কোনও এক জায়গায় মাটির নীচে লুকিয়ে রয়েছে হীরে-জহরত, মুক্ত-মানিক্য। তারপর সেই গুপ্তধনের সন্ধানে অ্যাডভেঞ্চারে বেরিয়ে পড়লেন। কিন্তু বাস্তবে এমন ঘটনা খুব একটা ঘটে না। 

যদিও এবার বাস্তবেই এমন ‘গুপ্তধনের’ সন্ধান পেয়ে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন এক দম্পতি। বাড়ি মেরামত করানোর জন্য খুঁড়তে হয়েছিল মাটি। আর মাটি খুঁড়ে যা দেখলেন, তাতে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ! মাটির তলায় পোঁতা রয়েছে এক ঘড়া সোনার মোহর! ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনের ইয়র্কশায়ারের এলারবি গ্রামে। নিজেদের বাড়ি মেরামত করাচ্ছিলেন জোসেফ ফার্নলি ও তাঁর স্ত্রী সারা মীস্টার। সেই সময় বাড়ির রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়তেই বেরিয়ে পড়ে ২৬৪টি সোনার মোহর!

যা দেখে রীতিমতো চমকে ওঠেন ওই দম্পতি। জানা গিয়েছে, ওই সোনার মোহরগুলি প্রায় ৩০০ বছর পুরোনো। এমন গুপ্তধনের সন্ধান পেয়ে আর দেরি করেননি জোসেফ ও সারা। তড়িঘড়ি একটি নিলামে তোলেন সেগুলিকে। সেখানে রীতিমতো মোটা টাকায় সোনার মোহরগুলি বিক্রি করে দেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭ কোটি টাকায় সোনার মোহরগুলি নিলামে বিক্রি করে দিয়েছেন ওই দম্পতি। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়ছেন তাঁরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্ধার হওয়া ২৬৪টি সোনার মোহর ৩০০ বছরের পুরোনো। প্রথম রাজা জেমসের আমলের মোহর সেগুলি। জোসেফ ও সারা অষ্টাদশ শতকে নির্মিত একটি বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করেন। ২০১৯ সালে ওই বাড়িরই কিছু মেরামতির কাজে রান্নাঘরের মেঝে খোঁড়া হয়। 

সেই সময়েই তাঁদের সামনে উঠে আসে শয়ে শয়ে সোনার মোহর। এর মধ্যে কয়েকটির আবার বয়স ৪০০ বছরেরও পুরোনো। এগুলিকে তাঁরা একটি নিলামে ৭ লক্ষ ৫৫ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করে দিয়েছেন। ভারতীয় মুদ্রায় হিসেব করলে যা দাঁড়াবে ৬ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা।

জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি ব্রিটেনের একটি প্রভাবশালী পরিবারের অংশ। জোসেফের পরিবার লোহা, কাঠ ও কয়লার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এমনকি একজন সাংসদও রয়েছেন জোসেফের পরিবারে। বাড়ির রান্নাঘর থেকে মোহরগুলি পাওয়ার পর জোসেফ ও সারা সেগুলিকে লন্ডনে একটি নিলামকারীর কাছে নিয়ে যান। সেখানেই এগুলি বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকায়। 

তাঁরা ভাবতেও পারেননি এই সোনার মুদ্রাগুলির জন্য এত ভালো দাম পাবেন। কারণ এগুলি দেখতে খুবই সাধারণ ছিল। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই সোনার মুদ্রাগুলি খুবই পুরোনো এবং দুর্লভ। সে জন্যেই অত বিপুল পরিমাণ অর্থে নিলাম হয়েছে সেগুলি।    

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর