বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এই মামলায় ইতিমধ্যে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসে চলেছে আর এবার তদন্তকারী সংস্থার টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। ইতিমধ্যেই তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই তদন্তকারী সংস্থার নজরে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। অবশেষে গতকাল ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। আদালতে নির্দেশে ইতিমধ্যে দু সপ্তাহের হেফাজত হয়েছে তাঁর। তবে এর মাঝেই বর্তমানে অসুস্থ হয়ে পড়লেন মানিক ভট্টাচার্য। ইডির টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে এদিন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এক্ষেত্রে গতকাল ইএসআই হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করা হলে সেই সময় কোন রকম অসুস্থতা ধরা পড়েনি। এদিন শ্বাসকষ্ট ধরা পড়তেই অবশ্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে।
মানিক ভট্টাচার্যই কি দুর্নীতি কাণ্ডে মূল মাথা?
গতকাল মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করার পর থেকে একের পর এক তথ্য সামনে এসেছে। মানিকের অস্বস্তি বাড়িয়ে আদালতে ইডি দাবি করে, “ক্ষমতা অপপ্রয়োগের মাধ্যমে মানিক ভট্টাচার্যের আমলে ৫৮ হাজার চাকরি বেআইনিভাবে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসূত্র এবং অন্যান্য একাধিক বেআইনি উপায়ে নিয়োগ দুর্নীতিকে বাস্তব রূপ দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গতকাল আদালতে ইডির আইনজীবী জানান, “মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে অভিযোগ করা হয় যে, মোট ৪৪ জনের থেকে ৭ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।” অর্থাৎ তিন কোটির ওপর টাকা দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ।একইসঙ্গে মানিক-পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা মিলেছে বলে দাবি করে ইডি।
পাশাপাশি মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কন্ট্যাক্ট লিস্টে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। এক্ষেত্রে RK-নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে অসংখ্য চ্যাট উদ্ধার করেছে তারা। পাশাপাশি মেসেজে উল্লেখ রয়েছে, ‘ফাইনাল লিস্ট তৈরি করে ডিডি-কে (DD) পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইডি (ED) তা দেখে নিয়েছে।’ ফলে সব মিলিয়ে ঘনীভূত রহস্য আর এর মাঝেই মানিক ভট্টাচার্যের অসুস্থতার খবর নয়া বিতর্কের সূচনা করলো।