বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আরও একটা ম্যাচ, আরও একটা প্রতিপক্ষ, কিন্তু এক কিলো ইস্টবেঙ্গলের সাম্প্রতিককালের পারফরম্যান্স। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফিরিয়েও শেষ মুহূর্তের গোলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে স্বপ্নভঙ্গ হলো স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের দলের। সর্মথকরা দীর্ঘ দুই মরশুম পরে নিজের প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটাতে গ্যালারিতে উপস্থিত হয়েছিলেন, কিন্তু একদম শেষমুহূর্তের গোলে তাদের ফের স্বপ্নভঙ্গ হলো এবং মরশুমের প্রথম দুটি ম্যাচে হেরে শুরু করলো ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচেই আগেই লাল-হলুদ কোচ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি ম্যাজিশিয়ান নন। রাতারাতি দলের ভাগ্য বদলে ফেলা সম্ভব নয়। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তারা মাত্র চার সপ্তাহ প্রস্তুতির সময় পেয়েছে। এত কম সময় একটি ভালো দল তৈরি করা সম্ভব নয়। সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে হবে। মিরাকেলের আশা করলে সেটা সম্ভব নয়। প্রত্যেক ম্যাচে তারা উন্নতি করবেন।
তার কথা আজ কিছুমাত্রায় সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে সত্যিই কিছুটা উন্নতি দেখা গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের খেলায়। ক্লিয়েটন সিলভা দুটি ভালো সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেন। ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে এসে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন রেফারির কিছু সিদ্ধান্তকে দোষ দেন তাদের হারের জন্য। তার মতে গোয়া গোলরক্ষক ধীরাজের লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল এবং গোয়ার ম্যাচের শেষ ৩০ মিনিটে ১০ জনে খেলার কথা ছিল। তবে তিনি সমর্থকদের জন্য বার্তা দিয়ে বলেছেন, “আশা করি সমর্থকরা দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের খেলায় উন্নতিটা খেয়াল করে আমাদের পাশে থাকবেন।”
ম্যাচের প্রথমার্ধে দাপট ছিল এফসি গোয়ার। প্রাক্তন এফসি গোয়া এবং বর্তমানে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেসের ভুলে মাত্র ৭ মিনিটে হোম টিমের জালে বল জড়িয়ে দেন ব্রেন্ডন ফার্নান্দেজ। গোটা প্রথমার্ধেই বেশ নড়বড়ে রেখেছে ইস্টবেঙ্গলের তারকা ডিফেন্ডারকে। এফসি গোয়া যে প্রথমার্ধেই তিন গোলে এগিয়ে যায়নি এর জন্য ইস্টবেঙ্গল নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানাতে পারে। যদি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও দাবি করতে পারেন যে একটি ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের প্রথমার্ধে।
দ্বিতীয়ার্ধে সেই পেনাল্টি থেকেই সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। ছন্দহীনতায় ভুগতে থাকা সুমিত পাসিকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তুলে নেওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের অনেক উন্নতি ঘটে। জেরির বাড়ানো বল ধরে ৬২ মিনিটের মাথায় বিপজ্জনকভাবে গোয়া বক্সে ঢুকে আসেন সুহের। তাকে থামাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন গোয়ার তরুণ গোলরক্ষক ধীরাজ। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি ক্লিয়েটন। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শেষ থেকে ফিটনেস হোক বা কোচের স্ট্রাটেজির কারণেই হোক, বেশ কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের সংযুক্ত সময়ের শেষ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে নেওয়া এদু বেদিয়ার ফ্রি কিক কিপার সহ সকলকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়িয়ে যায় এবং এফসি গোয়া মরশুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতে মাঠ ছাড়ে।