গুরগাঁওয়ের মসজিদে নামাজের সময় হামলা, ভাঙচুর! দেওয়া হল খুনেরও হমকি! চাঞ্চল্য এলাকায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও সাম্প্রদায়িক হিংসায় উত্তপ্ত দিল্লি। এবার গুরগাঁওয়ের (Gurugram) একটি মসজিদে (Mosque) নমাজ পড়ার সময় ভিতরে ঢুকে মারধর এবং ভাঙচুর (Mob Attack) চালানোর অভিযোগ উঠল ২০০ জনেরও বেশি দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি সেই মসজিদের গেটও ভাঙচুর করা হয়। তারপর ওই মসজিদের গেট বন্ধ করে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।

বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গুরগাঁও পুলিস প্রায় ১৩ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মসজিদ ভাঙচুর এবং ভিতরে ঢুকে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় গুরুগ্রামের ভোরাকালান এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগে পুলিস আরও লেখে যে, এলাকার কিছু দুষ্কৃতী স্থানীয় একটি মসজিদে ভাঙচুর করে এবং লোকজনকে মারধরও করে। এরই সঙ্গে খুনের হুমকিও দেয়। এরপর মসজিদের গেট বন্ধ করে তারা পালিয়ে যায়।

এই ঘটনা সম্পর্কে সুবেদার নজর মহম্মদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভোরাকালানে মাত্র চারটি মুসলিম পরিবার বাস করে। বুধবার তিনি এবং অন্যরা যখন মসজিদে নমাজ পড়ছিলেন, তখনই ২০০ জনেরও বেশি দুষ্কৃতী ভেতরে ঢুকে তাঁদের উপরে হামলা চালায়। এমনকি সেই দুষ্কৃতীরা তাঁদের এলাকা ছাড়ার হুমকিও দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪৭ (দাঙ্গা), ১৪৮ (অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা), ২৯৫-এ ধারা (ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত)-এর উপর ভিত্তি করে মামলা দায়ের করে। ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। রাজেশ চৌহান, অনিল ভাদৌরিয়া এবং সঞ্জয় ব্যাসকে শনাক্ত করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিসের জালে কোনও অপরাধী ধরা পড়েনি। পুলিস জানিয়েছে, তদন্তে যারাই দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর