আমেরিকায় পাক অর্থমন্ত্রী দেখে উঠল চোর স্লোগান! ফের বিশ্বের সামনে বেইজ্জত পাকিস্তান

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানে (Pakistan) সরকার পরিবর্তন হয়েছে মাস কয়েক আগে। ইমরান খানের (Imran khan) জায়গায় মসনদে বসেছেন শাহবাজ শরিফ। কিন্তু বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের ছবি এখনও আগের মতই আছে। তা আরও একবার প্রমাণ হল। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বার পাকিস্তানের জন প্রতিনিধিদের অপমানিত হতে হয়েছে মানুষের সামনে। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল আমেরিকার (US) মাটিতে। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর সামনে উঠল ‘চোর’ স্লোগান।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের বাৎসরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আমেরিকায়। সেই সভায় যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক ডার। সেই সভাতেই তাঁকে শুনতে হল ‘চোর’ স্লোগান। এরপরই শোরগোল শুরু হয় গোটা বিশ্ব জুড়ে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখাচ্ছে এক ব্যক্তি ইশাক ডারকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ‘আপনি মিথ্যুক, আপনি চোর।’ দেশের সম্পর্কে এই মন্তব্য শুনেই রাগে লাল হয়ে যান সেই সভায় উপায় এক পাকিস্তানি আধিকারিক। তিনি সরাসরি সেই ব্যক্তির দিকে হুংকার করে বলেন, ‘আপনি মুখ বন্ধ রাখুন। এখানে চেঁচামেচি করবেন না।।’ পরে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

তবে এই প্রথম নয়। এর আগে পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রী মারিয়ম ঔরঙ্গজেবকেও একই রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের মন্ত্রী মারিয়াম ঔরঙ্গজেবকে লন্ডনের রাস্তায় দেখতে পেয়েই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকরা চোর বলে স্লোগান দেন এবং একটি কফি শপে এককোণে করে দেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মারিয়াম ঔরঙ্গজেব লন্ডনের একটি রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছেন। তাঁর পিছনে কয়েকজন মাইকে ‘চোর চোর’ স্লোগান দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দেখুন, পাকিস্তানের মানুষের টাকা লুঠ করে লন্ডনের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

চূড়ান্ত হেনস্থার মুখে পড়েও শান্ত মেজাজেই মারিয়ামকে এক বিক্ষোভকারীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘আপনার নিশ্চয়ই মা-বোন রয়েছে। আপনারা যেভাবে রাস্তায় আমায় হেনস্থা করছেন, যদি আপনার মা-বোনেদের কেউ রাস্তার মধ্যে এভাবে হেনস্থা করে, তাহলে কী বার্তা পৌঁছবে? ওঁরা আমার নামে গালিগালাজ করেছেন, অশ্রাব্য শব্দ প্রয়োগ করে আমায় ডেকেছেন। আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দিইনি। কারণ এটা কোনও পথ হতে পারে না। এইসব কিছু আমায় বিরক্ত করে না। বরং আমার ধৈর্য্য ও সহ্যশক্তিই বাড়িয়ে দেয়। মত প্রকাশের একমাত্র পথ হল নিজের কণ্ঠস্বর ও ভোট।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর