বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রতিরক্ষা (Defence Sector) ক্ষেত্রে আরও মজবুত হল ভারত (India) নিউক্লিয়ার ব্যালেস্টিক মিসাইল সাবমেরিন থেকে সফলভাবে পরীক্ষামূলক ব্যালেস্টিক উৎক্ষেপণ করা হল। শুক্রবার আইএনএস আরিহন্ত থেকে এই মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়। ভারতের কাছে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। এর আগে এতদিন পর্যন্ত জলের নীচে নির্দিষ্ট কোনও জায়গা থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হত। এই প্রথম কোনও সাবমেরিন থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হল। এরইসঙ্গে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসাবেও ভারত ফের একবার নিজের ক্ষমতা জাহির করল।
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার বঙ্গোপসাগর উপকূলে একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় এই ব্যালেস্টিক মিসাইল। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। যাবতীয় অপারেশনাল ও টেকনিক্যাল ক্ষেত্রেও সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে এই প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্র ব্যবস্থা। সাবমেরিন থেকে ব্যালেস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণে কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে চিন ও পাকিস্তানকে, এমনটাই মত কূটনৈতিকদের।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আইএনএস আরিহন্ত থেকে সফলভাবে ব্যালেস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ ভারতের ব্যালেস্টিক মিসাইল সাবমেরিন প্রোগ্রামের সাফল্য, যোগ্যতা ও বৈধতাকে তুলে ধরেছে। ভারতের ‘প্রথমে হামলা না করার’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই শক্তিশালী এবং নিশ্চিত প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা হল ভারতের বিশ্বাসযোগ্য ন্যূনতম প্রতিরোধের নীতি।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতের কাছে তিনটি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যালেস্টিক মিসাইল সাবমেরিন রয়েছে। আইএনএস আরিহন্ত হল দেশের প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পরমাণু সাবমেরিন। ২০০৯ সালে কার্গিল বিজয় দিবসে এই সাবমেরিনের উদ্বোধন করা হয়। ৬ হাজার টনের এই বিরাট আকার সাবমেরিন অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ভেসেল প্রকল্পের অধীনে বিশাখাপত্তনমে তৈরি করা হয়।
মিসাইল সাবমেরিন ছাড়াও বর্তমানে ‘সারফেস টু সারফেস’ কে-১৫ ও কে-৪ মিসাইলও রয়েছে ভারতের কাছে, যা চিনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার প্রধান অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও চিনের পর ভারত ষষ্ঠ দেশ, যার কাছে পরমাণু শক্তিধর সাবমেরিন রয়েছে। এই সাবমেরিন ব্যালেস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণেও সক্ষম।