চেয়ে দেখবে গোটা বিশ্ব, ফের বড় কামাল করতে চলেছে ISRO, ইতিহাস গড়ার পথে ভারত

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO (Indian Space Research Organisation) এবার GSLV Mk3 রকেট সংক্রান্ত একটি বড় ঘোষণা করেছে। ISRO জানিয়েছে যে, তাদের সবচেয়ে ভারী রকেটের প্রথম বাণিজ্যিক উড়ানের লঞ্চ শীঘ্রই হতে চলেছে। আগামী ২৩ অক্টোবর সকাল ৭ টায় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কোম্পানি OneWeb-এর সাথে ISRO মোট ৩৬ টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এই লঞ্চের মাধ্যমে GSLV MK3 গ্লোবাল কমার্শিয়াল লঞ্চ পরিষেবা সার্ভিসের বাজারে প্রবেশ করবে।

এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি টুইট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, আগামী ২৩ অক্টোবর সকাল ৭ টায় ISRO, LVM3 – M2 / OneWeb India-1 মিশনের লঞ্চ করবে। ইতিমধ্যেই Cryo স্টেজ ইকুইপমেন্ট বে (EB) অ্যাসেম্বল সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, স্যাটেলাইটগুলিকে এনক্যাপসুলেট করে অ্যাসেম্বলও করা হয়েছে। সর্বোপরি ইতিমধ্যেই লঞ্চের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

   

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (ইসরো-র বাণিজ্যিক শাখা) এবং যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক লো আর্থ অরবিট স্যাটেলাইট যোগাযোগ সংস্থা OneWeb-এর মধ্যে একটি চুক্তির অংশ হিসেবে ISRO এই উৎক্ষেপণটি পরিচালনা করছে। পাশাপাশি, মহাকাশ সংস্থাটি লঞ্চটি দেখার জন্য জনসাধারণের জন্য একটি ভিউয়িং গ্যালারিও খুলেছে। এমতাবস্থায়, করোনা মহামারীর পর এই প্রথম সাধারণ মানুষ এইভাবে লঞ্চ দেখার সুযোগ পাবে।

ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেট উৎক্ষেপণটি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস অ্যাসোসিয়েটেড লিমিটেড নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমে কেনা হয়েছিল। এমতাবস্থায়, এই প্রথম ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেটকে বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

AA12Y6sK

এছাড়াও, এই প্রথমবারের মতো ভারতের ওয়ার্কহরস পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (PSLV) ছাড়া অন্য কোনো রকেট বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতের বর্তমানে তিনটি অপারেশনাল উৎক্ষেপণ যান রয়েছে। সেগুল হল PSLV, GSLV, এবং GSLV Mk 3। পাশাপাশি, মহাকাশ সংস্থা একটি ছোট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ যানও তৈরি করেছে। যার প্রথম উড়ান এই বছরের শুরুতে আংশিকভাবে সফল হয়েছিল।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর