বাংলাহান্ট ডেস্ক: সদ্য শেষ হয়েছে দূর্গাপুজো। রেড রোডে কার্নিভ্যাল করে সন্তান সন্ততি নিয়ে কৈলাসে পাড়ি দিয়েছেন মা দুগ্গা। ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ায় এ বছর এক মাস আগে থেকেই পুজো শুরু হয়ে গিয়েছিল বঙ্গে। উৎসবের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার তাঁকেই ‘দূর্গা’ বলে দাবি করলেন তৃণমূলের তারকা সদস্য কৌশানি মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee)।
সোমবার কোচবিহারের সিতাই ব্লকে ঘাসফুল শিবিরের বিজয়া সম্মীলনী ছিল আক্ষরিক অর্থেই জমজমাট। মঞ্চ থেকে বিরোধীদের কটাক্ষ ছোঁড়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীরও ঢালাও প্রশংসা করেন কৌশানি। ২০২৪ দিল্লি যাবে হাওয়াই চটি। প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মমতাই, আগে থেকে ঘোষনা করে দিলেন কৌশানি।
এদিন অভিনেত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে দূর্গা একজনই যিনি একা হাতে সমস্ত শত্রুদের দমন করে চলেছেন। সীমান্তে সৈন্যরা কড়া পাহারায় থাকে, যাতে দেশবাসী নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে। সৈন্যদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা টেনে কৌশানির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সেই সৈনিক যার জন্য সবাই শান্তিতে ঘুমাতে পারে। এ বছর সবাই মাস্ক ছাড়া করোনামুক্ত হয়ে পুজো কাটিয়েছে। সবটাই মা দূর্গার আশীর্বাদে। আর পশ্চিমবঙ্গে দূর্গা একজনই।
এখানেই থামেননি কৌশানি। বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ শানিয়ে তিনি বলেন, পদ্মফুল বছরের সবসময়ে দেখা যায় না। বিশেষ বিশেষ সময়ে দেখা যায়। তারপর তারাও কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন, এক থালা ভাত খেয়ে উঠে পড়েন। শুধু নির্বাচনের সময়ে দেখা যায় তাদের। এরপরেই তিনি বলেন, ২০২১ এর নির্বাচনে ভাঙা পায়েই খেল দেখিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪ এও খেলা হবে।
রবিবার কোচবিহারের ২ নম্বর ব্লকের কাকড়িবাড়িতে বিজয়া সম্মেলনে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন কৌশানি। মুখ্যমন্ত্রীকে নাকি মুড়ি আর শসা ছাড়া আর কিছুই খেতে দেখেননি তিনি। তাঁরা যখন বিরিয়ানি খান, মুখ্যমন্ত্রী তখন চা বিস্কুট খেয়ে রাজ্যের মানুষের কথা ভাবেন। বছরের ৩৬৫ টা দিন শুধুই বাংলার মানুষের কথা ভাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উন্নয়নের কথা ভাবেন, দাবি কৌশানির।