বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডকে যে যতই ঘৃণা করুক না কেন, কার্তিক আরিয়ান (Kartik Aaryan) কিন্তু নিজের ফ্যানবেস বানিয়ে নিয়েছেন। কেরিয়ার শুরু করার পর থেকেই একটা বড় অংশের দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। আর সেটা তাঁর নম্র, ভদ্র ব্যবহারের জন্য। এত বড় মাপের তারকা হয়েও কার্তিকের মাটির কাছাকাছি থাকার মানসিকতা অসংখ্য মানুষের মনে জায়গা দিয়েছে কার্তিককে।
পাশাপাশি আরো একটি কারণে কার্তিক সবার মন জিতে নিয়েছেন, সেটা হল তাঁর নির্লোভ এবং আদরংশবাদী মানসিকতা। যতই জনপ্রিয়তা পেয়ে যান না কেন, আদর্শ এবং নীতি ভোলেননি তিনি। লাইন দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির তারকারা যখন টাকার কাছে বিক্রি হয়ে তামাক, মদ জাতীয় ক্ষতিকর নেশার পণ্যের প্রচার চালাচ্ছেন, সেখানে কার্তিকই একমাত্র ব্যতিক্রম যাঁকে টাকা দিয়ে কেনা যায়নি।
অথচ এই কার্তিকই অন্যতম অভিনেতা যিনি বলিউডের সবথেকে বড় দুঃসময়ে লাভের মুখ দেখিয়েছিলেন। ‘ভুলভুলাইয়া ২’ এর পর থেকে তাঁকে নিজের ছবি এবং বিজ্ঞাপনে কাস্ট করার কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিলেন প্রযোজকদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই একাধিক পানমশলার বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়েছেন কার্তিক। এবার জানা গেল আরো বড় তথ্য।
অক্ষয় কুমার যে পানমশলার বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়ে বিপদে পড়েছিলেন, সেই বিজ্ঞাপনটি নাকি আগে কার্তিকের কাছেই এসেছিল। জানা গিয়েছে, তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে কার্তিককেই সর্বপ্রথমে পছন্দ করেছিলেন বিজ্ঞাপন নির্মাতারা, যেহেতু তরুণ প্রজন্মে কার্তিকের ক্রেজ দেখার মতো।
অভিনেতাকে ১৫ কোটি টাকার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন নাকি নির্মাতারা। কিন্তু নতুন প্রজন্মের রোল মডেল কার্তিক ফিরিয়ে দেন সেই প্রস্তাব। তারপরেই তা যায় অক্ষয়ের কাছে আর সেটা লুফে নেন তিনি। কিন্তু এত লোভনীয় একটা প্রস্তাব ফেরালেন কেন কার্তিক?
জানা যায়, অভিনেতার মা চার বছর আগে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে সেই অসুখ সারিয়ে উঠেছেন তিনি। তাই কার্তিক চান না এসব ক্ষতিকর জিনিস সেবন করে অন্য কেউ ওই একই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাক। তাই কোটি কোটি টাকার প্রস্তাব আসলেও মাদক পণ্যের বিজ্ঞাপনে না-ই বলেন কার্তিক।