বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক মামলায় অস্বস্তি বেড়ে চলেছে শাসক দলের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে গরু এবং কয়লা পাচার কাণ্ডের পাশাপাশি এবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Election Violence) আসরে নেমে পড়লো সিবিআই (CBI)। তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা দেবরাজ চক্রবর্তীকে (Debraj Chakraborty) ইতিমধ্যেই সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দেবরাজ চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অদিতি মুন্সীর (Aditi Munshi) স্বামী এবং দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবেই পরিচিত।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি, প্রাথমিক টেট সহ নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীরা। আবার অপরদিকে গরু এবং কয়লা পাচার মামলাগুলিতে অস্বস্তি বেড়ে চলেছে শাসকদলের। এই পরিস্থিতিতে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ফের একবার তৎপর হয়ে উঠল তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তের দায়ভার হাতে নেওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অ্যাকশনে নেমে পড়ল গোয়েন্দা সংস্থা।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে একাধিক রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ ভোটে জয় লাভের পর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল! এক্ষেত্রে তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি একাধিক বিজেপি সমর্থকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ আনে পদ্মফুল শিবির। পরবর্তী সময়ে এই মামলার তদন্তভার নিজেদের হাতে নেয় সিবিআই এবং এর ফলস্বরূপ এ দিন সকাল ১১ টা নাগাদ দেবরাজ চক্রবর্তীকে তলব করে বসলো তারা।
সূত্রের খবর, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাস খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এক্ষেত্রে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। সেই মামলাতেই দেবরাজকে তলব করা হয়েছে বলে খবর। এক্ষেত্রে এফআইআর-এ না থাকলেও পরবর্তীতে তদন্ত চলকালীন উঠে আসে তৃণমূল নেতার নাম।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অতীতে নাম জড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। বর্তমানে অবশ্য গরু পাচার কাণ্ডে হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এছাড়াও অন্যান্য একাধিক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা তদন্তকারী সংস্থার নজরে। এই পরিস্থিতিতে একদিকে যখন আদালতে এই মামলাটির শুনানি চলছে, তো আবার অপরদিকে সিবিআইয়ের তৎপরতা মাঝে পরবর্তীতে নয়া কোন তথ্য সামনে আসে, সেটাই দেখার।