বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুলিশের অভিযানে পাণ্ডে ব্রাদার্সের গ্যারেজ, বক্স খাট, বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রায় ২৮ কোটি টাকা। সাথে উদ্ধার হয়েছিল বেশ কিছু সোনা ও হিরের গয়নাও। তবে পুলিশের এই তদন্ত অভিযানের আগেই বাড়ি থাকে চম্পট দেয় পাণ্ডে ব্রাদারস। এই বিপুল পরিমাণ টাকা ও গয়না উদ্ধারের পর প্রশ্ন উঠতে থাকে যে এত পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কি?
জানা গিয়েছে, হাওড়ার শিবপুরে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধারের পিছনে পুলিশের ভাবনায় উঠে আসছে চিটফান্ডের কারবারের কথা। তদন্তকারীদের অনুমান, শিবপুরের পাণ্ডে ব্রাদার্স হয়ত অনলাইন চিটফান্ড কারবারের সাথে যুক্ত ছিলেন। পুলিশের এই অনুমান আমাদের আরো একবার মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০১৩-১৪ সালের চিটফান্ড কেলেঙ্কারির ঘটনা। যার কারণে পথে বসেছিলেন হাজার হাজার চিটফান্ড এজেন্ট থেকে সাধারণ মানুষ।
তদন্তকারীদের অনুমান, চিটফান্ড কারবারের কালো টাকা সাদা করার জন্য একের পর এক ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। খাদ্যশস্য সংস্থার নামে ১৬ নম্বর স্ট্র্যান্ড রোডের ঠিকানায় অগাস্টে কানাড়া ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখায় দুটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এক মাসের মধ্যে ওই দুই ব্যাংক একাউন্টে ৭৭ কোটি টাকার ট্রানজাকশন দেখে সন্দেহ দানা বাঁধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে।
ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের তিন বাসিন্দার নামে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। এরপর, ইয়েস ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক-সহ আরও ৯টি ব্যাঙ্কে খোলা হয় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। সূত্রের খবর, শৈলেশ পাণ্ডে ছিলেন এই সকল অ্যাকাউন্টের ইনট্রোডিউসার ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তিনি মূলত কালো টাকা সাদা করার দায়িত্বে ছিলেন।