বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক টেট (Primary Tet) সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা এবং এই ইস্যুতে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ অবস্থান ঘিরে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। নিয়োগের দাবিতে অনড় টেট উত্তীর্ণরা গত সোমবার সকাল থেকেই সল্টলেকের (Saltlake) এপিসি ভবনের নিকট অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে। ইতিমধ্যে আমরণ অনশনের ডাক দেওয়ার পাশাপাশি বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে আর এবার এই ঘটনায় চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর দাবি, “নিজেদের অধিকারের জন্য লড়ছে চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরি দেওয়ার ইচ্ছা কিংবা ক্ষমতা, দুটোর মধ্যে একটাও নেই সরকারের।”
এসএসসি, প্রাথমিক টেট দুর্নীতির পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক মামলায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়। এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার থেকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে টেট উত্তীর্ণরা। তাদের একটাই আবেদন, “দ্রুত চাকরিতে নিয়োগ করা হোক।” আর সেই দাবিতে বিগত দুদিন ধরে প্রতিবাদ করে চলেছে সকলে। এক্ষেত্রে আমরণ অনশনের ডাক দেওয়ার পাশাপাশি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি নিয়োগ পত্র হাতে না মিললে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। অপরদিকে চাকরিপ্রার্থী আবেদনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়েছে পর্ষদ।
এই পরিস্থিতিতে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “পরিস্থিতি ক্রমাগত চরম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীরা অধিকারের জন্য লড়ে চলেছে। ওদের পাশে রয়েছি আমরা। কিন্তু সরকারের চাকরি দেওয়ার ইচ্ছে কিংবা ক্ষমতা, দুটোর মধ্যে কোনটাই নেই। সরকার যে সংখ্যায় লোক নিয়োগ করবো বলেছিল, তা হয়নি। তাহলে আগেই বলে দিতে পারত যে, নিতে পারবে না। এখন বললে এদের কি হবে?”
দিলীপবাবু আরো বলেন, “সরকার চালাতে অক্ষম তৃণমূল কংগ্রেস। সব ঘটনায় আদালত হস্তক্ষেপ করে চলেছে। মানুষ বর্তমানে এই সরকারের হাত থেকে বাঁচতে চায়।”
প্রসঙ্গত, গত সোমবার থেকে চলা চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায়। এক্ষেত্রে আমরণ অনশনের ডাক দেওয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন। পুলিশ তাদের বিক্ষোভ সরিয়ে নিতে অনুরোধ করলেও তাতে কোনো রকম কর্ণপাত করেননি কেউই। চাকরিপ্রার্থীদের একটাই দাবি, “আমাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় বাড়িতে বসে থাকা যায় না। আমাদের দ্রুত চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়া হোক।”
যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি মানতে নারাজ পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, “চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে। তবে ওরা নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দাবি করে চলেছে, তা অনুচিত।” একইসঙ্গে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভকারীদের ধরনার বিরোধিতা করে হাইকোর্টে শুনানির আবেদন জানিয়েছে পর্ষদ। এদিন দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিলেও আগামীকাল এ মামলাটি সম্ভবত উঠতে চলেছে আদালতে।