বাংলা হান্ট ডেস্ক: যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। যদিও, সেই উন্নত প্রযুক্তিকে লাগে লাগিয়েই বেড়েছে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনাও। এমনকি, বর্তমান সময়ে অনেকেই নিজেদের অজান্তে সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime)-এর শিকার হচ্ছেন। যার ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হচ্ছে তাঁদের। মূলত, স্মার্টফোন আসার পর থেকে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য খুব সহজেই হ্যাক করে নিচ্ছে হ্যাকাররা। এদিকে, মোবাইলে থাকা কিছু Apps-কে হাতিয়ার করেই আড়ি পাতছে অপরাধীরা। যা ঘুণাক্ষরেও টের পাচ্ছেন না ব্যবহারকারীরা।
এই কারণেই আপনি যখনই আপনার স্মার্টফোনে কোনো অ্যাপ ইনস্টল করবেন তখন একাধিক বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়। অনেক সময় আমরা কিছু না বুঝেই বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল করে ফেলি। কিন্তু পরে সেগুলোই আমাদের আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমন একটি ম্যালওয়্যারের প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব যেটিকে হাতিয়ার করে বড় বিপদ ঘটাতে পারে হ্যাকাররা।
মূলত, জোকার ম্যালওয়্যারের প্রসঙ্গটি কিছুদিন আগেই সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই এই ম্যালওয়ারের ফলে বহু ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোন হ্যাক হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে, প্লে স্টোরে অনেক অ্যাপেই এই ম্যালওয়্যারটি ছিল। যদিও গুগল এই সম্পর্কে নিরন্তর কাজ করেছে বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, এই ম্যালওয়্যারটি অনেক অ্যাপে উপস্থিত থাকায় ব্যবহারকারীরা যখন ওই অ্যাপগুলি ইনস্টল করেন, তখন তাঁদের ফোন হ্যাক হতে শুরু করে।
ফেসবুকও প্রকাশ করেছে তথ্য: এই মুহূর্তে মেটা (ফেসবুক)-ও এই একই দাবি করেছে। ফেসবুক জানিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই এক মিলিয়ন ব্যবহারকারী তাঁদের ফোনে এমন কিছু অ্যাপ ইনস্টল করেছেন যা তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলিকে চুরি করছে। এছাড়াও, এই তথ্য একটি ভুল উপায়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। সংস্থাটি তার ব্লগে লিখেছে যে, এই ধরণের ডেটা বিভিন্ন মোবাইল ক্যামেরা অ্যাপের সাথে সম্পর্কিত রয়েছে। এমতাবস্থায়, অনেকে মোবাইলে এই ধরণের অ্যাপ ইন্সটল করলেই প্রাইভেট ডেটা ফাঁস হতে থাকছে।
কিভাবে মোবাইল হ্যাক হয়: মূলত, এই ধরণের সব অ্যাপই মোবাইল ফোনের সাহায্যে VPN কানেক্ট করে ফেলে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই অ্যাপ ইনস্টল করার পর OTP না চেয়েও মোবাইল ফোন থেকে টাকা উধাও হয়ে গেছে। আসলে VPN কানেক্ট হওয়ার পর যেকোনো স্মার্টফোন হ্যাক হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, এর পরে হ্যাকারদের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে OTP চাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। ফলে তারা যেকোনো জায়গা থেকে পুরো মোবাইল ফোনটি পরিচালনা করতে পারে।