তরুণীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ! অভিযুক্তর এনকাউন্টার করল যোগীর পুলিশ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : লক্ষ্ণৌ-এর বিভূতিখন্ড এলাকায় টিউশন পড়িয়ে ফেরার পথে এক শিক্ষিকাকে অপহরণ করে একদল যুবক। অভিযোগ ওঠে গণধর্ষণেরও। জানা যাচ্ছে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইমরান ওরফে মুস্তফা পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার ৩ঃ৩০ নাগাদ পুলিসের সঙ্গে ইমরানেী মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বিভূতিখন্ড থানা এলাকায় কঠৌতা ঝিল এলাকায়। জানা যাচ্ছে, পুলিসের উপর গুলি চালিয়ে পালাচ্ছিল ইমরান। পাল্টা গুলি চালায় পুলিসও। পুলিসের চালানো একটি গুলি ডান পায়ে লাগে ইমরানের। মাটিতে পড়ে যায় সে। ইমরানকে চিকিৎসার জন্য লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

পুলিস সূত্রে খবর, গত শনিবার সন্ধ্যায় টিউশন পড়িয়ে ফিরছিলেন ওই শিক্ষিকা। হঠাৎই তাঁর রাস্তা আটকায় একটি অটো। সেখান থেকে দুজন লোক নেমে জোড় করে তুলে নিয়ে যায় ওই মহিলাকে। অভিযোগ, তার পর গনধর্ষণ করা হয় তাঁকে। গত সোমবার এই ঘটনায় আকাশ তিওয়ারি নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। মূল অভিযুক্ত ইমরানের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিস। ডিসিপি প্রাচী সিংহ জানান, পুলিস খবর পায় ইমরান কঠৌতা এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু করে।’

পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার কঠৌতা এলাকায় দুপুর ৩ঃ৩০ নাগাদ বাইক আরোহী এক যুবককে দেখা যায়। পুলিস তাকে থামাতেই সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কঠৌতা ঝিলের অন্যদিকে বাইক রেখে সে কয়েকবার গুলি চালিয়ে দৌড় লাগায়। পাল্টা জবাব দেয় পুলিসও। একটি গুলি লাগে ইমরানের পায়ে। মাটিতে লুটিয়ে পরে সে। ইমরানের কাছ থেকে পুলিস ৩২ বোরের একটি পিস্তল এবং কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করে।

গত শনিবার কঠৌতা এলাকায় টিউশন পড়িয়ে ফিরছিলেন ওই শিক্ষকা। তিনি আদতে হুসেইনগঞ্জের বাসিন্দা। তাঁকে ইমরান ওরফে মুস্তাফা অপহরণ করে। তারপর সুশান্ত গল্ফ সিটির পিছনে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায় তারা। সেখানেই ধর্ষণ করা হয় ওই শিক্ষিকাকে। তারপর অচৈতন্য অবস্তায় গভীর রাতে ফেলে রেখে পালায় দুষ্কৃতিরা। তিন থানাতে ঘিরেও পুলিসে অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি নির্যাতিতা। অবশেষে পুরো ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর পদক্ষেপের করে বিভূতিখন্ড থানা।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর