বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাস্তার চারদিকে তখন তুমুল ব্যস্ততা। কেউ যাচ্ছেন নিজের কাজে, আবার কেউ ব্যস্ত দোকানে কেনাকাটায়। এমন সময় দেখা যায় একটি যুবক বস্তাবন্দি করে নিয়ে যাচ্ছেন এক শিশুর দেহ। চোখে মুখে স্পষ্ট বিষন্নতা। অনেকেই কৌতূহলে জিজ্ঞাসা করলেন, “শিশুটি কি অসুস্থ?” জনৈক যুবকের উত্তরে থ মেরে গেলেন সবাই। যুবক জানালেন, “অসুস্থ নয়, ভাইঝির মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।”
সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার সাক্ষী থাকলো ভোপাল। জানা গিয়েছে যুবকটির ভাইজি মারা গেছেন পথ দুর্ঘটনায়। অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে কাঁধে করেই বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন ভাইজির মৃতদেহ। হাসপাতলে ময়নাতদন্তের পর অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় মৃতদেহ বস্তায় মুড়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ি।
ওই ব্যক্তির দাবি, তারা খুবই গরীব। টাকা দিয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার সামর্থ্য তাদের নেই। হাসপাতাল থেকেও দেওয়া হয়নি অ্যাম্বুলেন্স। একটা অ্যাম্বুলেন্সের আশায় সারা হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়ালেও কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। তাই কোন উপায় না পেয়ে ভাইজির মৃতদেহ বস্তায় মুড়ে নিজের কাঁধে করেই বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
এই ব্যক্তি বেশ কিছুক্ষণ হাঁটার পর যখন একটি বাসস্টপে পৌঁছান ঘটনা জানাজানি হতে এক যাত্রী এগিয়ে আসেন তাকে সাহায্য করতে। ওই যাত্রী বাস ভাড়া প্রদান করলে যুবকটি তার ভাইজির মৃতদেহ যাত্রী বোঝাই বাসে করেই বাড়ি নিয়ে যান। মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলার এই ঘটনা ফের একবার প্রশ্ন চিহ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে সেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে।