বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্বজনপোষণ রয়েছে সব ইন্ডাস্ট্রিতেই। বিশেষত বিনোদন জগতে নেপোটিজমের (Nepotism) বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বারংবার অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও পরিবারতন্ত্র রয়েছে। কিন্তু সেখানে নেপোটিজম নিয়ে অত হাঙ্গামা হয় না। যত কাণ্ড বলিউডে (Bollywood)। এখানে নেপোটিজম ছিল, আছে, থাকবেও। কিন্তু অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতমের (Yami Gautam) মতে, আগের থেকে নেপোটিজম অনেকটা কমেছে ইন্ডাস্ট্রিতে।
সম্প্রতি টুইটারে অনুরাগীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে মেতেছিলেন ইয়ামি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে অনেক তারকাই এমনটা করে থাকেন। সেখানেই এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলেন, বলিউডে যাদের কোনো ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড নেই তারা কি নেপোটিজমের শিকার হন?
উত্তরে ইয়ামি লেখেন, ‘অতীতে যেটা হয়ে গিয়েছে সেটা হয়ে গিয়েছে! আমাদের এখন বর্তমানে মন দেওয়া উচিত যাতে এই জায়গাটাকে আরো ভাল ছবি আর প্রতিভা দিয়ে ভরিয়ে তোলা যায়, সে ব্যাকগ্রাউন্ড যেমনি হোক না কেন। আর আমার সত্যিই মনে হয় বদলটা আসছে।’
ইয়ামিকে পেয়ে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করেছেন নেটনাগরিকরা। একজন বলিউড বনাম দক্ষিণের যুদ্ধে ইয়ামির মতামতও জানতে চেয়েছেন। তাকেও উত্তর দিয়েছেন অভিনেত্রী। বিতর্ক এড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে কেউ কারোর বিরুদ্ধে নেই। যে ইন্ডাস্ট্রিই ভাল করুক না কেন, শেষমেষ ভারতীয় চলচ্চিত্রেরই লাভ হচ্ছে। হিন্দি ছবির ভাল চিত্রনাট্য, ভাল অভিনেতা, ভিন্ন ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি, গল্পে জোর দেওয়া উচিত। আমাদের উচিত দর্শকরা যাতে আরো বেশি উপভোগ করেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেটা চেষ্টা করা।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে সুজিত সরকারের ছবি ‘ভিকি ডোনর’ এর হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন ইয়ামি। এরপর একে একে উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বালা, বদলাপুর, কাবিল, আ থার্সডের মতো ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। ইয়ামিকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘দশভি’ ছবিতে। এরপর ‘লস্ট’ এবং ‘ওহ মাই গড ২’ ছবিতেও দেখা যাবে তাঁকে।