মধ্যরাতে চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশি অভিযান! ‘প্রশাসনিক’ সিদ্ধান্ত বলে দায় সারলেন কুণাল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক টেট (Primary Tet) সংক্রান্ত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। বিগত তিন দিন ব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে সল্টলেকের (Saltlake) এপিসি ভবনের নিকট রাস্তায়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই অবস্থান বিক্ষোভ থেকে তুলে দেওয়া হয়। গতকাল মধ্যরাতের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায় আর এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূল (Trinamool Congress) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

এসএসসি থেকে শুরু করে প্রাথমিক টেট এবং অন্যান্য একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার সর্বত্র। একদিকে যখন আদালতের নির্দেশে সিবিআই এবং ইডি তদন্ত করে চলেছে, আবার অপরদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের মতো তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতার হওয়ার পাশাপাশি দিনের পর দিন আন্দোলনরত রয়েছে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।

এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার থেকে সল্টলেকের এপিসি ভবনের নিকট রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভে বসে ২০১৪ সালের টেট চাকরি প্রার্থীরা। তাদের একটাই দাবি, দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক। পরবর্তীতে এই আন্দোলন আমরণ অনশনে পরিণত হয় এবং বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই অ্যাকশনে নামে কলকাতা পুলিশ এবং গতকাল মধ্যরাতে একপ্রকার জোড় করেই তুলে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের।

এই প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “গতকালের যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এখানে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কোনরকম মন্তব্য করার নেই। আমরা গণতন্ত্র মেনে চলি। বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভ চললেও কোথাও তুলে দেওয়া হয়নি। একটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভুল হলে তার সংশোধন করা হবে। এক্ষেত্রে আদালত যেরকম নির্দেশ দেবে, সেই মতো ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।”

পাশাপাশি বিরোধী দলগুলিকে কটাক্ষ করে কুণালবাবু বলেন, “বিজেপি এবং সিপিএমের মতো বিরোধী দলগুলির কোনরকম নৈতিক অধিকার কি রয়েছে? ত্রিপুরায় ১০ হাজারের ওপর শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে অথচ সেখানে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ পর্যন্ত করা হয়েছে। আমাদের এখানে পুলিশ আইন মেনে চলে। সিপিএমের আমলে যেভাবে একের পর এক চাকরি দুর্নীতি হয়েছে, সেখানে এদের কিছু বলা উচিত নয়। বিরোধী দলগুলি কেবলমাত্র নাটক করে চলেছে। সস্তার রাজনীতি করে অন্য রাজ্যের পাপ ভোলাতে চাইছে।”

TET protest police action 2

এছাড়াও কুণাল ঘোষের গলায় উঠে আসে কেন্দ্রের চাকরি প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “মানুষের নিকট বিরোধী দলগুলি প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন চাকরির প্রার্থীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে চলেছে। সস্তার রাজনীতি করছে এরা। তাছাড়া রেল এবং ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য একাধিক পরীক্ষায় পাশ করা সত্ত্বেও অনেকেই কেন্দ্রীয় চাকরি পায়নি। যদি এরা কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরের সামনে বিক্ষোভে বসে, তখন কি করবেন আপনারা? বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এখন কি করবেন?”

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর