বাংলাহান্ট ডেস্ক : বৃহস্পতিবার রাত তখন গভীর। হঠাৎ অভিযান চালিয়ে করুণাময়ী (Karunamoyee Protest) চত্বর থেকে অবস্থানকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। প্রথমে ২০১৪ সালের টেট এবং তারপর ২০১৭ সালের টেট – উভয় বিক্ষোভকারী গোষ্ঠীকেই হঠিয়ে দেয় পুলিস। আর তারপর থেকেই পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ।
এদিন বেলা গড়াতেই সল্টলেক সিটিসেন্টার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বাম ছাত্র-যুবরা (SFI-DYFI Protest)। মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়, কলতান দাশগুপ্ত সহ অন্যান্য বাম নেতারা হাজির ছিলেন সেখানে। পুলিশের সঙ্গে আবারও ধস্তাধস্তিও হয় বাম ছাত্র-যুবদের। পুলিশের গতরাতের ভূমিকার প্রতিবাদে এদিন মিছিলের ডাক দেয় এসএফআই-ডিওয়াইএফআই। কিন্তু সিটি সেন্টার চত্বরের কাছেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিস। আর এরপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মীনাক্ষীরা। এবার মহিলা পুলিসকর্মীদের ডেকে এনে মীনাক্ষীকে টেনে হিঁচড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়।
পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মীনাক্ষী বলেন, ‘দালালি করছে পুলিস। পুলিস সাবধান হোক। আমরা বলেছি পুলিসের আধিকারিক আসুন। এসে কথা বলুন। পয়সা নিয়ে, সাদা খাতা জমা নিয়ে এই সরকার চাকরি দিয়েছে। এর প্রতিবাদ এ রাজ্যে হবেই। ওরা যদি প্রতিবাদ করতে না দেয়, ওরা ভুল করছে। পুলিসের যিনি দায়িত্বে আছেন, তিনি আসুন, ১৪৪ ধারা দেখিয়ে দিক। আমরা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘণ করব না। এখানে কি ১৪৪ ধারা? নয় তো।’
পাশাপাশি রাজ্য সরকারের প্রতি কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান কলতান দাশগুপ্তও। তিনি বলেন, ‘এটাই তৃণমূলের বাহিনী। তৃণমূল গর্তে লুকিয়েছে, পুলিসকে ব্যবহার করে আন্দোলন ভাঙতে চাইছে। এই আন্দোলন ভাঙবে না। তৃণমূলকে গর্তে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।’