বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টেট (Primary Tet) আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন ঘিরে উত্তপ্ত বাংলা। বিগত তিন দিন ধরে সল্টলেক (Saltlake) এপিসি ভবনের নিকট চাকরি প্রার্থীদের আমরণ অনশন ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এর মাঝেই গতকাল মধ্যরাতে তাদের সকলকেই জোর করে তুলে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় বিতর্ক আরো বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলিও ক্রমাগত পথে নেমে চলেছে আর এবার এই প্রসঙ্গে মমতা (Mamata Banerjee) সরকারকে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
দিলীপ ঘোষের দাবি, “তৃণমূল সরকার বাংলায় কাজ করছে না। আবার ওদের বিরুদ্ধে আন্দোলন পর্যন্ত দেখানো যাবে না। রাস্তায় নামলেই পুলিশ আসছে, গ্রেফতার করছে। লাঠিপেটা করে সরিয়ে দিচ্ছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। ২০১৪, ২০১৭ সালে প্রাথমিক টেট পাশ করেও মেলেনি চাকরি। ফলে নিয়োগের দাবিতে পথে নেমে চলেছে অসংখ্য বিক্ষোভকারীরা। তাদের একটাই দাবি, ‘দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক।’
গত সোমবার এই দাবি তুলে সল্টলেকের এপিসি ভবনের নিকট বিক্ষোভ প্রদর্শনে বসে ২০১৪ প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণরা। বিগত তিনদিন ধরে বিক্ষোভ চললেও গতকাল মধ্যরাতে সকলকে জোর করে তুলে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলি প্রতিবাদে নেমেছে। অপরদিকে, তাদের পুলিশি বাধা দেওয়ার মাঝে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। এই বিতর্ক মাঝে এদিন মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, “পরীক্ষায় পাশ করা সত্ত্বেও চাকরি মেলেনি। তিনদিন ধরে অনশন করে চলেছে, তারপরেও ওদেরকে নির্মমভাবে ধাক্কা মেরে জোর করে তুলে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই।”
একইসঙ্গে প্রতিটি বিরোধী দলের প্রতিবাদ মিছিল প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, “আমরা কোন রাজনৈতিক দলকে ডাকিনি। চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের অধিকারের জন্য বিক্ষোভে বসেছে। তাদের সমর্থন জানাতে আমাদের নেতা নেত্রীরা প্রতিবাদ দেখিয়েছে। একই সঙ্গে অন্য দলের নেতারাও পৌঁছে গিয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতির কোন রকম বিষয় নেই। প্রতিটি দলের উচিত, চাকরি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানো।”
পাশাপাশি তিনি বলেন, “মানুষের প্রতি অত্যাচারের পাশাপাশি দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে গোটা বাংলা। প্রতিটি দলের উচিত, প্রতিবাদ করে চলা। দুর্নীতি থেকে মুক্তি দিতে হবে বাংলাকে।”
টেট চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এদিন মমতা সরকারকে কটাক্ষ ছুড়ে দেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, “পরীক্ষা হওয়ার পাশাপাশি ইন্টারভিউ হয়েছে। তা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হয়নি। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ওনার হাতে নাকি অনেক চাকরি রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না আর নেওয়া হলেও নিয়োগ হয়ে উঠছে না। গোটা বাংলা অপশাসনে ভরে গিয়েছে।”